নিউজ ডেস্ক:
জাতীয় পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা জোরদারের লক্ষ্যে যৌথ অংশীদারিত্বে কাজ করতে সম্মত হয়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এবং জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব)। গত মঙ্গলবার এ লক্ষ্যে দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়।
সিনিয়র শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসির উপস্থিতিতে সমঝোতা স্মারকে এনপিওর পক্ষে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক এস এম আশরাফুজ্জামান এবং নাসিবের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি মির্জা নূরুল গনী শোভন স্বাক্ষর করেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং নাসিব কেন্দ্রীয় কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী, দেশব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠান পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করবে। এনপিও এবং নাসিবের যৌথ উদ্যোগে প্রতি বছর কমপক্ষে চারটি বিভাগীয় শহরে উৎপাদনশীলতাবিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হবে। এসব কর্মশালায় এনপিও প্রয়োজনীয় সম্পদ ব্যক্তি (রিসোর্স পার্সন) প্রেরণ ও কারিগরি সহায়তা দেবে।
এ ছাড়া, এনপিওর কারিগরি সহায়তায় কেন্দ্রীয়ভাবে নাসিব প্রতিবছর দুটি সেমিনার/কর্মশালা আয়োজন করবে। পাশাপাশি উভয় প্রতিষ্ঠান প্রতিবছর যৌথভাবে ২ অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদযাপন করবে। এনপিও প্রতিবছর ‘ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদানের জন্য বিজ্ঞপ্তি যথাসময়ে নাসিব কার্যালয়ে প্রেরণ করবে। সে অনুযায়ী নাসিব সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবহিত এবং আবেদনে উদ্বুদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র শিল্পসচিব এ ধরনের উদ্যোগকে অত্যন্ত ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্বে দেশে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির প্রয়াস জোরদার হবে। রূপকল্প-২০২১ অর্জনের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করতে আগ্রহী বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি পারস্পরিক সহায়তার ভিত্তিতে শিল্প, সেবা, কৃষিসহ সকল খাতে উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে কাম্য অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।