চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন হাট-বাজার মনিটরিংয়ে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার
নিউজ ডেস্ক:রমজানকে পুঁজি করে লাগামহীন হয়ে উঠেছে পণ্যবাজার। ইচ্ছেমত দাম হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পণ্যগুলোর দাম তাই হুহু করে বেড়েই চলেছে। বাজার থেকে শুরু করে ফুটপাত, স্বল্প আয়ের ছোট ছোট দোকানে যেসব পণ্য বিক্রি হয়, সেগুলোতেও চলছে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। ব্যবসায়ীদের এই লাগামহীন দৌরাত্ম ঠেকাতে এবার মাঠে নেমেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রথম রমজান থেকে বাজার মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। রমজানকে পুঁজি করে লাগামহীন হয়ে উঠেছে পণ্যবাজার। ইচ্ছেমত দাম হাঁকছেন ব্যবসায়ীরা। রমজান মাসে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পণ্যগুলোর দাম তাই হুহু করে বেড়েই চলেছে। বাজার থেকে শুরু করে ফুটপাত, স্বল্প আয়ের ছোট ছোট দোকানে যেসব পণ্য বিক্রি হয়, সেগুলোতেও চলছে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতা। ব্যবসায়ীদের এই লাগামহীন দৌরাত্ম ঠেকাতে এবার মাঠে নেমেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এছাড়া প্রথম রমজান থেকে বাজার মনিটরিং করছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় শহরের বড় বাজার এলাকার বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান, হোটেল-রেস্তোরা ও কাপড়ের দোকানে পণ্যের গুনগতমান ও সঠিক দাম তদারকি করেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস ও পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)। এ সময় ব্যবসায়ীদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিষয়ে সচেতন, স্বাস্থ্যকর ও ভেজালবিরোধী এবং অহেতুক মূল্যবৃদ্ধির ব্যাপারে সর্তক করা হয়। এখন থেকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং হবে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘রমজানের শুরুতে অনেকে একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করেন। এই সুযোগে ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেন। ঠকতে হয় স্বল্প আয়ের ক্রেতাদের। কিন্তু এবার জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা কঠোর উদ্যোগ নিয়েছি। নিয়মিত বাজার মনিটরিং হবে। কোনোভাবেই দ্রব্যমূল্য বাড়তে দেয়া হবে না।’ তিনি বলেন, ‘রমজান হচ্ছে সিয়াম সাধনা ও আত্মনিয়ন্ত্রণের মাস। বিশ্বের প্রায় সব দেশেই রমজান সামনে রেখে দ্রব্যমূল্য কমে আসে। অথচ বাংলাদেশেই এর ব্যতিক্রম। কিন্তু এবার আমরা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবো।’ পুলিশ সুপার বলেন, ‘রমজান মাস এলে বিত্তবান ক্রেতারা একসঙ্গে পুরো মাসের বাজার করেন। এতে বাজারে সংকট দেখা যায়। তাই ক্রেতাদের অনুরোধ করছি পরিমিত পরিমাণ কিনতে। একসঙ্গে অনেক পণ্য না কিনে দুই থেকে তিন দিনের বাজার একসঙ্গে করুন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করবে জেলা পুলিশ।’ এদিকে, অভিযান চলাকালে শহরের আল আমিন হোটেলে ইফতারি বিক্রির জন্য পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকিপূর্ণ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার করার দায়ে নগদ দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় এ রায় ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. খাইরুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ওয়াশীমুল বারী, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান, জেলা মার্কেটিং অফিসার শহিদুল ইসলামসহ গণমাধ্যমকর্মী ও ভোক্তা সাধারণ। অভিযানে সহায়তা করেন জেলা পুলিশের সদস্যরা।