নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শপিং ব্যাগ থেকে জীবিত এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত ভবনের পেছন থেকে এলাকাবাসী এ নবজাতকটিকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এ দিকে নবজাতকের মা-বাবা জনগণের রোষানলে পড়ায় তাঁদের পুলিশে দেওয়া হয়। নবজাতকের পিতা শহরের নওদা গ্রামের আক্কাস আলী ও মা ববিতা খাতুন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালপাড়ার চা ব্যবসায়ী মনু মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম ছাগল চরাতে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যক্ত ভবনের পিছনে একটি শপিং ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে ব্যাগের ভেতর পলিথিনে মোড়ানো একটি নবজাতক দেখতে পেয়ে নিজের বাড়ির লোকজনকে খবর দেন। নবজাতকটি জীবিত আছে বুঝতে পেরে তাঁরা তাকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
এদিকে, নবজাতকটিকে ফেলে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী ওই নবজাতকের মা-বাবাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের বাবাকে হেফাজতে নেয় এবং মাকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। নবজাতকের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রকৃত ঘটনা উদ্ঘাটন হয়। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া রিনা খাতুন ও অ্যাম্বুলেন্স চালক রকি নামের দুজনকে আটক করা হয়েছে।
কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অমিত কুমার নাথ জানান, নবজাতক ও মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের অবস্থা গুরতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
কোটচাঁদপুর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নবজাতকের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। নবজাতক ও তার মাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসি আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রিনা খাতুন নামের এক আয়া ও অ্যাম্বুলেন্স চালক রকিও জড়িত বলে অভিযোগ পেয়ে তাঁদেরকেও আটক করা হয়েছে।