আন্দুলবাড়ীয়ায় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:জীবননগরের আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বিন সাদিকের বিরুদ্ধে সরকারি ধান ক্রয়ে কৃষকদের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট ব্লকের কয়েকজন তালিকাভুক্ত কৃষক ঘুষ নেওয়ার অভিযোগটি নিশ্চিত করলেও অনেকে প্রভাবশালীদের চাপে মুখ খুলছেন না।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সরকার সরাসরি কৃষকদের নিকট থেকে ধান ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রকৃত কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করার জন্য জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বিন সাদিক সংশ্লিষ্ট ব্লকের নিশ্চিন্তপুর, ঘুগরাগাছি, নিধিকু-ু ও কুলতলা গ্রামের ২১ জন কৃষকের নামের তালিকা প্রস্তুত করেন। ওই তালিকায় কৃষকদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জনপ্রতি এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বিন সাদিক।
জানা যায়, নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে গোলাম রসুল, মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে ইউনুছ আলী ও আকবার আলীর ছেলে আশান হোসেনের নিকট কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বিন সাদিক এক হাজার টাকা করে ঘুষ দাবি করেন। তাঁদের মধ্যে কৃষক গোলাম রসুল টাকা দিতে টালবাহানা করায় তিনি মুঠোফোনে তাঁকে কয়েকবার তাগিদ দেন। নিরুপায় হয়ে কৃষক গোলাম রসুল কৌশলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মুঠোফোনের কথোপকথন রেকর্ড করলে তাঁর ঘুষ গ্রহণ করার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। এরপর তাঁর ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে একে একে কয়েকজন কৃষক মুখ খুলতে শুরু করেন।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সরকার ন্যায্যমূলে ১ হাজার ৪০ টাকা মণ দরে সরাসরি কৃষকদের নিকট ধান ক্রয় করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬০ জন কৃষকের নাম সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত করা হয়। প্রত্যেক কৃষক এক মেট্রিক টন ধান সরবরাহ করবেন। নিশ্চিন্তপুর ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বিন সাদিক সংশ্লিষ্ট ব্লকের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের চারজন, ঘুগরাগাছি গ্রামের আটজন, নিধিকুটু গ্রামের তিনজন ও কুলতলা গ্রামের ছয়জন কৃষকের নাম অন্তর্ভুক্ত করে চূড়ান্ত তালিকা প্রস্তুত করেন এবং কৃষকদের নিকট থেকে জনপ্রতি এক হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন তিনি।
সূত্র আরও জানায়, কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বিন সাদিক ১ম ধাপের তালিকাভুক্ত কৃষকদের নিকট থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়ার পর এবার ২য় ধাপের তালিকা প্রস্তুত করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন। ২য় ধাপে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৯৯ মেট্রিক টন।
এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাহাবুব বিন সাদিকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক।