কুষ্টিয়ার কুমারখালিতে পদ্মা নদীতে পুলিশের ওপর হামলা হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন কয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন। তাঁদের সঙ্গে থাকা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এ এস আই সদরুল আলম ও এ এস আই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দিলে তাঁরা নিখোঁজ হয়ে যান।
আজ সোমবার (২৮ অক্টোবর) দিবাগত ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে কুমারখালীর কয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুলিশ ও ইউপি সদস্যরা একটি নৌকায় করে অভিযানে বের হলে অবৈধ জাল ফেলে মাছ ধরার সময় তাদের ওপর হামলা হয়। দুর্বৃত্তরা হেলমেট পরে নৌকায় এসে হামলা চালায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান জানান, রাত তিনটার দিকে কুমারখালী থানা পুলিশের এসআই নজরুলের নেতৃত্বে একটি টিম কুমারখালীর চর সাদীপুর এলাকায় আসামি ধরতে যায়। এসময় কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া এলাকার পদ্মা নদীতে আশেপাশে থেকে কয়েকটা নৌকা পদ্মার মাঝখানে ঘিরে ধরে। এসময় নৌকা তিনটা থেকে নৌকাবাহী পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। এতে কুমারখালী থানা পুলিশের এএসআই সদরুল ও মুকুল নৌকা থেকে পড়ে পদ্মায় নিখোঁজ হন। এ সময় আহত হন- এসআই নজরুল ও স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য। নিখোঁজদের উদ্ধার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছে।
কুমারখালী ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দুপুর ১২টার দিকে তারা নিখোঁজ পুলিশ সদস্যদের উদ্ধারে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তবে ডুবুরি না থাকায় উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়নি। খুলনা থেকে ডুবুরি দল রওনা দিয়েছে এবং ঘণ্টা খানেকের মধ্যে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে ইলিশ রক্ষায় পদ্মায় নিয়মিত অভিযান অন্যহত থাকলেও জেলেরা নিয়মিত ইলিশ আহরণে নৌকা নিয়ে পদ্মায় অবাধে বিচরণ করে। মাঝে মাঝে অভিযানের সময় মাছ ধরাসহ জেলেদের জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কুমারখালি উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমাদুল হাসান জানিয়েছেন, গত রাতে কোনো মৎস্য অভিযান ছিল না, তাই পুলিশ কেন সেখানে ছিল তা অজানা।