নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ২ শ বছরের পুরাতন মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। গত সোমবার দুপুরে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে মাাটি কাটার সময় এসব মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এরপর শ্রমিকসহ স্থানীয় লোকজন সেগুলো কুড়িয়ে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর কালীগঞ্জ থানার পুলিশ কয়েক দফায় সেখানে অভিযান চালিয়ে ৪৩ সিলভার কালারের বেশকিছু কয়েন উদ্ধার করে। তবে স্থানীয় লোকজন বলছেন, মাটি কাটার সময় শত শত মুদ্রা বেরিয়ে আসে। তাঁদের দাবি, উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলো সবই রৌপ্য মুদ্রা। তবে কী পরিমাণ পাওয়া গেছে, তা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামবাসী জানিয়েছে, পুলিশ তাঁদের কাছ থেকে অর্ধশত মুদ্রা নিয়ে গেছে, আর বাকি মুদ্রা শ্রমিকেরা আত্মসাৎ করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্বে জামাল ইউনিয়নের গ্রাম গোপালপুর। ওই গ্রামের কৃষক সুদিপ দে। তাঁদের বাড়িতে রয়েছে চার পুরুষ পূর্বের ২ শ বছরের একটি পুরাতন মাঠির ঘর। ১৫ দিন আগে পুরাতন সেই ঘর ভেঙে মেঝের মাটি কেটে পান বরজে নিয়ে যাচ্ছিলেন সুদিপ দে। গত সোমবার মাটি কাটার সময় পাওয়ারট্রলির চাকার সঙ্গে হঠাৎ বেরিয়ে আসে শত শত মুদ্রা। বাড়ির মালিক সুদিপ কুমার দে জানান, ‘আমার দাদার বাবা, মানে চার পুরুষ আগের গোপালপুর গ্রামে এই মাটির ঘরটি তৈরি করেন। তখন থেকেই পর্যায়ক্রমে এই ঘরে আমরা বসবাস করে আসছি। সম্প্রতি ঘরটি ভেঙে সেই মাটি মাঠের পান বরজে নেওয়া হচ্ছিল। সে সময় মাটির নিচ থেকে রৌপ্যমুদ্রা বের হয়ে আসে। এ সময় আমার ভাবি করুণা রাণী দে ২৬টি কয়েন কুড়াই। যেগুলো সোমবার সন্ধ্যায় সাদা পোশাকের পুলিশ এসে নিয়ে গেছে। পরে রাতে আরও দুই দফায় পুলিশ বাড়িতে এসে তল্লাশি করে।’ ২ নম্বর জামাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের হোসেন জানান, ‘আমি লোকমুখে শুনেছি, কিন্তু নিজে দেখিনি। শুনেছি একটি পুরাতন বাড়ির মাটি কাটার সময় রৌপ্যমুদ্রাগুলো বেরিয়ে আসে। যা উপস্থিত সবাই যে যার মতো কুড়িয়ে নিয়ে গেছে।’ ঘটনাস্থল থেকে মুদ্রা উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দেওয়া কালীগঞ্জ থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সুজাত আলী জানান, সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যারাতে ওই গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৪৩টি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। বাকি মুদ্রাগুলো স্থানীয় লোকজন আত্মসাৎ করেছেন। উদ্ধার হওয়া এসব মুদ্রার মধ্যে ২২টিতে রাণীর ছবি ও ১৯টি ব্রিটেনের রাজার ছবি রয়েছে। উদ্ধার করা মুদ্রাগুলো বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে। কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবর্ণা রাণী সাহা জানান, সাংবাদিকদের কাছ থেকে জানার পর থানার ওসিকে বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।