নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় রাজা (২২) ও তাঁর মা কাকলী বেগম (৪০) গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় রাজা (২২) ও তাঁর মা কাকলী বেগম (৪০) গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বারপাখিয়া গ্রামের জামিরুল ইসলামের স্ত্রী কাকলী জানান, এক সপ্তাহ আগে তাঁর বাড়ির পাশের নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী শওকত তাঁর স্বামীকে বেধড়ক মারধর করেছিলেন। এ ঘটনা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সোমবার দুপুরে তাঁর পুত্র রাজা বাড়ির সামনে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় শওকত, তাঁর ৩ ছেলে শামিম, সবুজ, শহিদসহ ৬-৭ জন লাঠিসোটা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালান। প্রাণ রক্ষার্থে রাজা তাঁর বাড়ির মধ্যে আশ্রয় নিলে মা কাকলী ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাঁকেও কুপিয়ে জখম করে। তাঁদের চিৎকারে পাশর্^বর্তী লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। স্থানীয়রা আহত মা ও ছেলেকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান। পরে এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দিলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ রনি লস্কর ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি থানা পুলিশে খবর দিলে কালীগঞ্জ থানার ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছালে পরিস্থিতি শান্ত হয়। কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, গোলযোগের খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। ওই ঘটনায় থানাতে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেননি বলে জানান তিনি।