জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহঃ
ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে শনিবার রাতে সামেদ আলী (৪৫) ও ইসরাইল হোসেন (৬০) নামে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর করোনা পরীক্ষার জন্য দুজনের নমুনা সংগ্রহ করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বাড়ি লকডাউন করে লাল পতাকা টানিয়ে দিয়েছে প্রশাসন। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডা. সেলিনা বেগম ও পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে কাশি, সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্ট জনিত কারনে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝিনাইদহ পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের বড় খাজুরা গ্রামের সামেদ আলী মারা যান। মারা যাওয়ার পর তার লাশ ঝিনাইদহ গ্রামের বাড়িতে আনলে প্রশাসন শরীরের নমুনা সংগ্রহের জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আতঙ্কে মৃত ব্যক্তির আত্মীয় স্বজন, পরিজন, পাড়া পতিবেশী কেউই মৃতের দাফন ও জানাযার জন্য এগিয়ে আসেনি। খবর পয়ে ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুুপার হাসানুজ্জামান নির্দেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবুল বাশার ও সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান ফোর্স নিয়ে মৃত ব্যক্তির গোসল করান এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদরুদ্দোজা শুভ জানাজা পড়ান। এদিকে শনিবার রাত ১১ টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার খাঞ্জাপুর গ্রামে বৃদ্ধ শ্বাসকষ্ট, জ্বর, ঠান্ডা ও কাশি নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে কালীগঞ্জ থানার এসআই আবুল খায়ের জানান, পুলিশের কর্মকর্তাদের নির্দেশে তিনি দায়িত্ব পালন করেন, এ সময় কেউ লাশ বহনের গাড়ি দিতে রাজি হচ্ছিল না, মৃত্যুর কথা শুনার পরে সাধারন মানুষ ও হাসপাতালের সাধারন কর্মচারিরা লাশের কাছ থেকে দুরে থাকছিল। অনেক সময় পরে এক ব্যাক্তিকে বুঝিয়ে তিনি একটি সিএনজি এনে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া করোনা উপসর্গ নিয়ে ইসরাইল হোসেন নামের এক বৃদ্ধ মারা যাওয়ার খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, মারা যাওয়ার পর তার লাশ নেওয়ার জন্য কোন গাড়ী পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। তেমন কোন লোকজন ছিল না। লাশ বাড়িতে পৌছিয়ে দেওয়া, জানাযা, দাফনসহ সবকিছুই কয়েকজন তরুন আলেম ও পুলিশ করেছে বলে তিনি দাবি করেন। পুুলিশের সাথে একজন ডাক্তার, একজন মসজিদের ইমাম ও মৃত ব্যক্তির এক ছেলে ছিল।