নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের কানাইডাঙ্গা গ্রামের গৃহবধু মলি (১৯) দীর্ঘ ২০দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় মলির শ্বশুর ইদ্রিস আলী গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। জিডি করার ১০ দিন অতিবাহিত হলেও উদ্ধার হয়নি মলি।
জানা গেছে, কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের মনিরের মেয়ে মলি খাতুনের সাথে একই গ্রামের আশাদুলের ছেলে আরিফের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর আরিফ মলিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। একপর্যায়ে আরিফ যৌতুকের দাবিতে মলিকে নির্যাতন করতে থাকে। পরবর্তীতে উভয় পরিবারের সম্মতিতে আরিফ ও মলির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। গত ৬ মাস পূর্বে আবারও পারিবারিকভাবে মলির সাথে কানাইডাঙ্গা গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে এনামুলের সাথে বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের সংসার ভালোই চলছিল। হঠাৎ করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ির সকলের চোখ ফাঁকি দিয়ে মলি নিখোঁজ হয়। মলির পিতার পরিবারের লোকজন ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন গোপনে মলির সন্ধান করতে থাকে কিন্তু কোন সন্ধান মেলাতে না পেরে মলির শুশুর ইদ্রিস দামুড়হুদা মডেল থানায় মলির নিখোঁজের ব্যাপারে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। মলি নিখোঁজের ২০দিন অতিবাহিত হলেও তার কোন সন্ধান মেলেনি।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, মলিকে খোঁজা হচ্ছে। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, সে আরিফের কাছেই থাকতে পারে। বিষয়টা গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আসাদুর রহমান আসাদ জানান, কল লিস্ট বের করে তাকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। কল লিষ্ট হাতে পেলেই দ্রুত উদ্ধার করা সম্ভব হবে।