জুবাইর হোসেন (রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়)
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের(রাবি) আমাদের বাপ-দাদার জমিতে রয়েছে। আমরা অধিকার পাব না তো কে পাবে। আমাদের সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সুবিধা ভোগ করবে এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি।
৬ জানুয়ারি (সোমবার) বেলা ১১ টায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সিনেট ভবনের সামনে প্যারিস রোডে ২০২৪-২৫) শিক্ষাবর্ষে প্রাতিষ্ঠানিক কোটা বাতিলের প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে এ কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা
মানববন্ধনে আইন অনুষদের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম সদর বলেন, আমাদের অধিকার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধনে দাড়াতে হবে এটা কখনোই ভাবি নি। এই প্রশাসন নিজেদের চেয়ার কে ঠিকিয়ে রাখতে যৌক্তিক পাওনা থেকে আমাদের বঞ্চিত করেছে।প্রশাসন কে বলে দিতে চাই এটা আমদের প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা।
তিনি আরো বলেন যে, ভিসি -প্রো ভিসি নিজেরাই কোটার সুবাধে চেয়ারে বসে আছে। তারা নির্বাচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, এই বিশ্ববিদ্যলয়ে আমরা উড়ে আসি নাই। এখানে আমাদের বাপ -দাদাদের জমি রয়েছে। আমরা আমাদের ৫% প্রাতিষ্ঠিক সুবিধা যেকোনো মূল্যে ফিরত চাই।
রাবি অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া পোষ্য কোটার যে তালিকা দেখতে পাই তা ভুয়া। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৯০৭ জনের মধ্যে মাত্র ৭৮ জন শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক সুনিধা নিয়ে ভর্তি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোটা ইস্যু নিয়ে যে কমিটি হয়েছে তাতে অফিসার সমিতির কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। গত ২ জানুয়ারি আমদের বৈষমবিরোধী ছাত্রগোষ্ঠী নামের কিছু কুচক্রী মহল বহিরাগত নিয়ে এসে আমাদের উপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। সকাল ১০ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনে বন্ধ করে রাখে।
অফিসার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, আমরা আজকে প্যারিস রোডে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করছি। আগামীকাল প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমারা ২ ঘন্টার ধর্মঘট থাকবে। এছাড়াও আগামী ৮ তারিখ আমরা সারাদিনব্যাপী কর্মবিরতী পালন করবো। যতদিন পর্যন্ত না আমরা আমাদের অধিকার ফিরত না পায় ততদিন আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা আগেই ক্লিয়ার করেছি যে কেন পোষ্য কোটা থাকা উচিত না।আমার বাবা তাদের চেয়েও কম বেতনের কাজ করেন সেখানে আমি ৪০০ পজিশনে ইতিহাস বিভাগে পড়ছি আর তাদের ছেলে-মেয়ে ৮০০ পজিশন নিয়ে আইন বিভাগে পড়ছে।এটা কোনভাবেই কাম্য নয়।”
এছাড়াও, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা,কর্মচারীবৃন্দ বক্তব্যে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানান। তারা আরও জানান দাবি পূরণ না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে তারা হুঁশিয়ারি দেন।