বায়েজীদ (গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি) :
বছরের শুরুতেই করোনার থাবায় থমকে গেছে গোটা বিশ্বে। আর এটি এমন এক ভাইরাস যা স্তব্ধ করে দিয়েছে পৃথিবীর শিশুদের প্রাণচাঞ্চল্য।এ ভাইরাসে শিশুরা অপেক্ষাকৃত অনেক কম আক্রান্ত হলেও বলা হচ্ছে এ ভাইরাসের নীরব শিকার তারা।
তাই দীর্ঘ্য পাঁচ মাস ধরে শিশুরা ভুলেই গেছে আনন্দ-উল্লাস করতে।বন্যার পানি দেখে করোনা আতঙ্ক ভুলে গোবিন্দগঞ্জের বিভিন্ন বন্যার পানিতে সাঁতার কাটছে শিশু-কিশোরেরা।
গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ গোবিন্দগঞ্জ শহরের আশ্বিনের মাঝামাঝিতে প্রকৃতির নিয়মে প্রবলাভাবে এসেছে বৃষ্টির পানি। বৈশাখের খরতাপ ও ঝড়ের দাপটের শেষে শুরু হয় বর্ষা ঋতু, তবে বর্ষা শেষ হলেও আবহাওয়ার তারতম্যে শরতেও প্রচুর বৃষ্টিপাতে নদী-নালা, খাল-বিল, মাঠ-ঘাট পানিতে ফুঁসে উঠে প্রাকৃতির ডাকে অনেক সময় বন্যা সৃষ্টি হয়ে তা ডানা মেলে শহরে বন্দরে।
তেমনিভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাতে বন্যার সৃষ্টি হয়ে সে বন্যা গোবিন্দগঞ্জের শহরে ডানা মেলেছে।বাড়ীর পাশে ঘরের দুয়ারে বন্যার পানি পেয়ে করোনা আতঙ্ক ভুলে বন্যার পানিতে আনন্দ উল্লাস করছে।তবে এতে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় অভিভাবকদের কারণ এসকল পানিতে শিশুরা উল্লাস করতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকারের আতঙ্ক থাকে অভিভাবকদের মাঝে।তাই অনেকসময় দেখা যায় অভিভাবকগণ গাইড দিয়ে শিশুদের আনন্দ -উল্লাসের সুযোগ করে দেয়।শনিবার তেমনি একজন অভিভাবকের দেখা মেলে গোবিন্দগঞ্জ শহরের পশ্চিম চৌরাস্তা এলাকায়।রায়হান সিদ্দিক নামে এক এনজিও কর্মি তার সন্তানদের নিয়ে এসে তার শিশুদের বন্যার পানিতে আনন্দ করার সুযোগ করে দেয়।
সেখান থেকে ফিরে রায়হান সিদ্দিক বলেন বন্যা মানুষের মাঝে দূর্ভোগ দূর্দশার বিষয় হলেও অবুঝ শিশুদের জন্য আনন্দময়।করোনায় স্তব্ধ শিশুদের মাঝে
প্রাণ চাঞ্চল্লো ফিরে আনতে একটা বিকাল তাদেরকে দেই আমরা।বন্যার পানির ছোট্ট ডিঙ্গায় ভেসে ভেসে তারা আনন্দ উল্লাস করে।এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানিতে শিশুদেরকে আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়।তবে এ আনন্দ উল্লাসে শিশুরা অংশগ্রহণ করলে অবশ্যই রায়হান সিদ্দিকদের মতো অভিভাবকে সচেতন থাকতে হবে যাতে এটা কোনো দূর্ঘটনার কারণ না হয়।