বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান নিজের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, কথার আগে স্যার পরে স্যার, একবাক্যে চারবার স্যার, এগুলো বন্ধ করেন।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির একই সঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও রয়েছেন।
রবিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষ করে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করার আগে উপদেষ্টার উদ্দেশ্যে বলেন, প্রথমে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি, আপনি গুরুত্বপূর্ণ একটা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পেয়েছেন।
এ সময় ওই সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের স্তুতির (তোষামোদ) সংস্কৃতি থেকে বের হতে হবে। সদ্য পতন হওয়া আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আপনি দেখেছেন তো বিপদে পড়ছে কীভাবে?
একই সভায় বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে করা বিতর্কিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন এখন থেকে অকার্যকর। তাই এখন থেকে জ্বালানির দাম নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ফাওজুল কবির খান বৈঠকে বলেন, আপাতত বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) বাইরে সরকার ভোক্তা পর্যায়ে জ্বালানি তেল, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ ও সমন্বয় করতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশ অ্যানার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৩ এর ৩৪ক ধারার আওতায় সরকারের জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে জাতীয় দৈনিকে বিরূপ নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। এর ফলে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বা হতে পারে।
এ অবস্থায় ওই ধারার অধীনে মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনা আপাতত স্থগিত থাকবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।