‘ওয়েস্ট নাইল’ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে ইসরায়েলে। বর্তমানে ৯১৩ জন রোগী রয়েছেন এ ভাইরাসের। স্থানীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাসে প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সংক্রমিত মশার মাধ্যমে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।
তবে আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিতে এই ভাইরাস ছড়ানোর ভয় নেই। এ ভাইরাসে আক্রান্ত প্রায় ৮০ শতাংশ লোকের কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না।
প্রায় ২০ শতাংশ আক্রান্ত রোগী জ্বর, মাথাব্যথা এবং শরীরের ব্যথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ অনুভব করতে পারেন। সংক্রমিতদের মধ্যে ১ শতাংশেরও কম মানুষ বিরল জটিলতা, যেমন মস্তিষ্কের তীব্র প্রদাহ বা মেনিনজাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে।
বয়স্ক ও দুর্বল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যক্তি ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসে আক্রান্ত হলে, মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৩৭ সালে আফ্রিকা মহাদেশের উগান্ডার ওয়েস্ট নাইল অঞ্চলে একজন নারীর শরীরে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়।