নিউজ ডেস্ক:
পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের সঙ্গে একান্তে কথা বলছেন বিচারপতিরা। সোমবার সকাল ১০টা ৪০মিনিটে বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের খাস কামরায় ঐশীকে নেওয়া হয়। সেখানে আরো উপস্থিত আছেন ঐশীর আইনজীবী সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জহিরুল হক জহির।
আজ সকালে কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষ ঐশী রহমানকে হাইকোর্টে নিয়ে আসে।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত ঐশী রহমানের মানসিক অবস্থা পর্যক্ষণের জন্য ডিআইজি প্রিজনকে তাকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ঐশীর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানিকালে আদালত এই আদেশ দেন।
গত ১২ মার্চ ঐশীর ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি শুরু হয়।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজে বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির ইন্সপেক্টর আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন। গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার মামলাটির বিচার চলছে শিশু আদালতে।