চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী সংস্কার ও খননের দাবিতে মানববন্ধনে বক্তারা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মাথাভাঙ্গা নদী সংস্কার ও খননের দাবিতে মানববন্ধন করেছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় শহরের মাথাভাঙ্গা ব্রিজের ওপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন থেকে অবিলম্বে মাথাভাঙ্গা নদী সংস্কারের দাবি জানানো হয়। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে মানববন্ধনের আয়োজন করেন মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন কমিটি। কমিটির আহ্বানে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের শহীদ হাসান চত্বরে সমবেত হতে থাকে জেলার বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাসহ শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মাথাভাঙ্গা বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সী, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি, নাট্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মো. আলাউদ্দিন, নজির আহম্মেদ, পরিবেশবাদী সংগঠন বেলার খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহফুজুর রহমান মুকুল, দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর সহসম্পাদক হেমন্ত কুমার সিংহ রায়, সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম ডালিম, ব্যবসায়ী নেতা সুমন পারভেজ ও উন্নয়নকর্মী হুসনে আরা হাসি।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে যে কয়টি সীমান্ত নদী আছে, মাথাভাঙ্গা নদী তার অন্যতম। নদীটি এ সময় খর¯্রােতা থাকলেও কালের বির্বতনে নদীটি হারিয়ে যেতে বসেছে। এক শ্রেণির অসাধু ব্যক্তিরা দিনের পর দিন নদীটি দখল করে চলেছেন। এর পাশাপাশি শহরের বর্জ্য নদীতে ফেলে নদীর পানি দুষিত করা হচ্ছে। দিনে দিনে নদীটি তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। মানববন্ধনে আরও বলা হয়, মাথাভাঙ্গা নদী না বাঁচলে এ অঞ্চলের মানুষও বাঁচবে না। মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচলে জেলার কুমার নদ, ভাটুই নদী, নবগঙ্গা নদী, চিত্রা নদী ও ভৈরব নদ বাঁচবে এবং এ অঞ্চলের জীব বৈচিত্রসহ পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষা পাবে। বাঁচবে প্রকৃতি ও জীবন। নদীটি দ্রুত সংস্কার ও খনন না করা হলে খুব দ্রতই মাত্রচিত্র থেকে হারাবে নদীটি। তাই নদীটি রক্ষায় সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।