এক মাস পরই দৃশ্যমান হবে পুরো পদ্মাসেতু ৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান

0
32

নিউজ ডেস্ক:আর মাত্র এক মাস পরই দৃশ্যমান হবে পুরো পদ্মাসেতু। এর মধ্যে ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের ওপর ৩৭তম স্প্যান বসানো হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হলো সেতুর ৫ হাজার ৫৫০ মিটার। সেতুতে বসানো বাকি থাকালো আর ৪টি স্প্যান। যার মধ্যে ২টি যোগ হবে এ মাসেই।

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ৩৭তম স্প্যান বসানোর কাজ শুরুর কথা। মাওয়ার কুমারভোগ ইয়ার্ডে স্প্যান নিয়ে অপেক্ষমান ক্রেনটি। তবে নদীতে কুয়াশার কারণে কাজ শুরু করতে বেশ বিলম্ব হয়।

অবশেষে পৌনে ১১টা দিকে স্প্যান নিয়ে রওয়ানা দেয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান ইও। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর পিলারের কাছে পৌঁছে যায় ক্রেনটি। নোঙ্গর করা শেষে মাওয়া প্রান্তে আগে বসানো ৭টি স্প্যানের সাথে জোড়া লাগানোর কাজ শুরু হয়। এতে সময় লাগে ২ ঘণ্টার বেশি। নতুন স্প্যানটি যোগ হওয়ার মাধ্যমে মাওয়া প্রান্তেও এখন টানা দৃশ্যমান প্রায় সোয়া ১ কিলোমিটার সেতু। অর্থাৎ এ পর্যন্ত মোট দৃশ্যমান সাড়ে ৫ কিলোমিটারের কিছুটা বেশি।

পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মোহাম্মদ আব্দুল কাদের জানান, মাওয়া প্রান্তে বসবে আরো ৪ টি স্প্যান। আর একমাসের মধ্যেই এগুলো সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা আছে।

বাকি স্প্যানগুলো- ১৬ নভেম্বর পিয়ার ১ ও ২ নম্বরে ৩৮তম স্প্যান ‘১-এ’, ২৩ নভেম্বর পিয়ার ১০ ও ১১ নম্বরে ৩৯তম স্প্যান ‘২-ডি’, ২ ডিসেম্বর পিয়ার ১১ ও ১২ নম্বরে ৪০তম স্প্যান ‘২-ই’ ও ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১ নম্বর স্প্যান ‘২-এফ’ বসবে ১২ ও ১৩ নম্বর পিয়ারের ওপর।

সেতুটিতে স্প্যান বসানোর পাশাপাশি সেতুর অন্যান্য কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে। এরইমধ্যে ২৯১৭টি রোডওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে বসানো হয়েছে ১১৬৬টি ও ২৯৫৯টি রেলওয়ে স্ল্যাবের মধ্যে ১৬৪৬টির বেশি বসানো হয়ে গেছে। সেতুর উভয় প্রান্তে ভায়াডাক্টের ৪৮৪টি সুপার-টি গার্ডারের মধ্যে স্থাপন হয়েছে ২৫৮টি।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল সেতুটি কংক্রিট ও স্ট্রিল দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। পদ্মা সেতুতে ৪২টি পিলারের ওপর বসানো হবে ৪১টি স্প্যান। এ পর্যন্ত ৩৭তম স্প্যান বসানো হলো।

২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩৭-৩৮ নম্বর পিয়ারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতু দৃশ্যমান হয়। ২০২০ সালের গত ৬ নভেম্বর ৩৬তম স্প্যানটি বসানো হয়।

মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। সেতুর ওপরের অংশে যানবাহন ও নিচ দিয়ে চলবে ট্রেন।

ইনডিপেনডেন্ট