নিউজ ডেস্ক:
উত্তর কোরিয়া ও ইরানকে ধ্বংসের হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জাতিসংঘে দেওয়া প্রথমবারের ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়াকে পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দিতে প্রস্তুত।
আর ইরানের ‘ভয়াবহ পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচিতে’ বাধা দিতে সর্বাত্মক শক্তি প্রয়োগেরও হুমকি দিয়েছেন।
সাধারণ পরিষদের ভাষণে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে সরে আসতে হুঁশিয়ার দেন। উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনকে ‘লৌহ মানব’ হিসেবে উল্লেখ করে তার দেশকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেন।
ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক শক্তি ও ধৈর্য আছে। কিন্তু আমরা যদি নিজেদের বা মিত্রদের রক্ষা করতে বাধ্য হই, তাহলে উত্তর কোরিয়াকে ধ্বংস করা ছাড়া আমাদের আর কোনো উপায় থাকবে না। ‘
ট্রাম্পের ক্ষোভের লক্ষ্যবস্তু কোরীয় নেতার উদ্দেশে ট্রাম্পের আরও হুমকি, রকেট ম্যান নিজেকে এবং নিজের দেশকে আত্মঘাতী অভিযানের দিকে পরিচালিত করছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত, ইচ্ছুক এবং সক্ষম। তবে আশা করি এর প্রয়োজন হবে না।
২০১৫ সালে ইরান ও বিশ্বের ছয় ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের মধ্যে স্বাক্ষরিত পারমাণবিক চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, ওই চুক্তি মধ্যপ্রাচ্যের সংঘর্ষে ইরানের ধ্বংসাত্মক ভূমিকার লাগাম টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা এমন খুনে শাসন ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে দিতে পারি না, যখন তারা ভয়ঙ্কর ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির কাজ চালিয়ে যায়।
সত্যি বলতে কি, এই চুক্তি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য লজ্জার। এখন পুরো বিশ্বের আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার সময়। ইরানকে তাদের ধ্বংসযজ্ঞ শেষ করতে হবে।
ট্রাম্পের আজকের এই ভাষণের মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালে সম্পাদিত পরমাণু সমঝোতায় শেষ পর্যন্ত আমেরিকা থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময়ে এ সমঝোতা থেকে বের হয়ে আসবেন বলে একাধিকবার ঘোষণাও করেছিলেন ট্রাম্প।