নিউজ ডেস্ক:
চিকিৎসা বিজ্ঞানে নয়া নজির৷ দেশে এক বিরল অস্ত্রোপচার হল৷ স্তনের সৌন্দর্যবৃদ্ধিতে চিকিৎসাশাস্ত্রের নতুন হাতিয়ার ফ্যাট-গ্রাফটিং। শরীরের যে অংশে মাংস বেশি এবং ঢাকা থাকে, সেখান থেকে ফ্যাট ট্র্যান্সফার করা যেতে পারে অপরিণত স্তনে। ফলে লাভ – সিলিকন জাতীয় কৃত্রিম জেলি ব্যবহার করার দরকার হয় না। ফ্যাট গ্রাফটিং আসলে প্রাকৃতিক পদ্ধতি। খুবই সামান্য কাটাছেঁড়া করতে হয়। ভারতে অবশ্য এই প্রযুক্তি খুব সম্প্রতিই এসেছে।
তবে এরই মাঝে ইন্টারনেটের দৌলতে মানুষের কাছে কোনও কিছুই এখন আর অজানা নেই। সেই ইন্টারনেটেই প্রথম পথ খুঁজে পান ইন্দোরের এক বছর তেইশের তরুণী। অসম স্তনের সমস্যায় বহুদিন ধরে ভুগছিলেন। জিনগত ত্রুটির কারণে তাঁর দুটি স্তনের আকার সমান ছিল না। চিকিৎসাশাস্ত্রের ভাষায় একে বলে পোল্যান্ড সিন্ড্রোম। এর ফলে অনেকসময় ডিপ্রেশনে ভুগতেন তিনি। কেউই তার সমস্যার সমাধান করতে পারে নি৷ শেষে নিজের সমস্যা মেটাতে নিজেই উদ্যোগ নেন তিনি। ইন্টারনেট ঘেঁটে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের খোঁজ পান ওই তরুণী।
কসমেটিক সার্জারিতে এই সমস্যার সমাধান হয়েছে আগেই। তবে আমাদের দেশে কম, বিদেশে বেশি। আমাদের দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক পরিকাঠামো যা, তাতে কতজনই বা সেই সার্জারির সুযোগ নেন বা নিতে পারেন – তা নিয়ে তর্কের অবকাশ আছে বিস্তর। কিন্তু ব্রেস্ট ক্যান্সারের মতো ঘটনায় যদি স্তন বাদ দিতে হয় তাহলে এই ধরনের বিকল্পের কথা হয়তো অনেকেই ভাববেন। অন্তত যাঁদের আর্থিক সংকুলান আছে। স্তনের গঠনের পিছনে লাখ লাখ টাকা খরচ করার মতো পরিস্থিতি দেশের অধিকাংশ মানুষেরই নেই।
কিন্তু সেলিব্রিটি হলে, বিষয়টি ভিন্ন। রূপের বাজারে আগুন ধরাতে তাঁরাও তখন নেমে পড়েন প্রতিযোগিতায়। আবার বলি – আমাদের দেশে কম, বিদেশে বেশি। তাঁদের মধ্যে সেলিব্রিটিদের নামও শোনা যায়। যেমন কানাঘুষো শোনা যেত শ্রীদেবী, আয়েষা টাকিয়া, বিপাশা বসু, মল্লিকা শেরাওয়াতদের কথা। কিন্তু এসব নিয়ে কেউ কখনও মুখ খোলেননি। আসলে এসব কথা আবার আমাদের দেশে ট্যাবু। আমাদের দেশে চার বছরের শিশুকন্যা ধর্ষিতা হয়। কিন্তু নারী সৌন্দর্য নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যায় না। সেটা ট্যাবু হয়ে যায়। এসব অবশ্য অন্য প্রসঙ্গ।