নিউজ ডেস্ক:
কাজু বাদামে রয়েছে দেহের জন্য উপকারি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন এবং মিনারেল। অতীতে এটি ব্রাজিল থেকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। পর্তুগিজরাই এটি সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয় এবং ১৬শ শতকে ভারতীয় উপমহাদেশে নিয়ে আসে। কিডনি বা শিমের বীচির আকৃতির কাজু বাদামের প্রচুর স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে। আজ সেই উপকারিতাগুলো সম্পর্কেই জেনে নিই চলুন।
১. হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখে
কাজু বাদামে ভালো ফ্যাট থাকে এবং এতে কোন কোলেস্টেরল থাকেনা। খারাপ কোলেস্টেরল এলডিএল এর মাত্রা কমতে সাহায্য করে কাজু বাদাম। অনেকেই মনে করে থাকে চর্বি গ্রহণ বাদ দেয়াটা শরীরের জন্য ভালো, কিন্তু এই কথাটি আসলে সত্যি নয়। সুস্থ দেহের জন্য খাদ্যের সকল ধরণের গ্রুপ থেকেই এমনকি ফ্যাট থেকেও পুষ্টি উপাদান প্রয়োজন। ভালো উৎস থেকে তা গ্রহণ করতে হবে যেমন- কাজু বাদাম। তাছাড়া এতে অলেইক এসিড থাকে যা হার্টের জন্য উপকারি।
২. শক্তি বৃদ্ধি করে
কাজু বাদাম ম্যাগনেসিয়ামে সমৃদ্ধ যা শক্ত হাড়ের জন্য, মাংসপেশী ও স্নায়ুর সঠিক কাজের জন্য প্রয়োজনীয়। আমাদের শরীরে দৈনিক ৩০০-৭৫০ গ্রাম ম্যাগনেসিয়াম প্রয়োজন হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য।
৩. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
এই বাদামটিতে সোডিয়াম কম থাকে এবং পটাসিয়াম বেশি থাকে। যার ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
৪. ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
কাজু বাদামে সেলেনিয়াম থাকে এবং ভিটামিন ই থাকে যা ফ্রি র্যাডিকেলের জারণ প্রতিরোধ করে। যার ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কাজুতে প্রচুর জিংক থাকে বলে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে।
৫. শরীরের নানা চাহিদা পূরণ
যেহেতু কাজুতে উচ্চমাত্রার কপার থাকে তাই এনজাইমের কাজে, হরমোনের উৎপাদনে এবং মস্তিস্কের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও লাল রক্ত কণিকার উতপাদনেও সাহায্য করে বলে অ্যানেমিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে। কাজুতে উচ্চমাত্রার ক্যালোরি থাকে। তাই দৈনিক ৫-১০ টা কাজু বাদাম খাওয়াই যথেষ্ট। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা আছে এবং মাইগ্রেনের সমস্যা হয় যাদের তাদের না খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন ধরনের কাজু বাদাম পাওয়া যায় যেমন- লবণাক্ত, সিদ্ধ বা মশলাযুক্ত। হাইপারটেনশনের রোগীদের লবণযুক্ত কাজু বাদাম না খাওয়া ভালো।