হাবিবুল ইসলাম হাবিব, টেকনাফ: গত ৬ মে উখিয়া-টেকনাফের হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের দুয়ার খুলে দিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই খুশি আর আনন্দে উখিয়া-টেকনাফের লক্ষ লক্ষ জনগনের মাঝে দেখা দিয়েছে উৎসবের আমেজ। কক্সবাজার-টেকনাফ স্বপ্নের মেরীন ড্রাইভ সড়কটি উদ্বোধন হওয়ার পর থেকে দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটকদের ঢল নেমেছে। কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে যোগ হচ্ছে নতুন নতুন মাত্রা। এই স্বপ্নের মেরীন ড্রাইভ সড়কটি উদ্বোধন হওয়ার পর টেকনাফ উপজেলা বিশে^র দরবারে অপার সম্ভাবনাময় শ্রেষ্ট পর্যটন নগরী হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে যাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের আদলে নির্মিত হয়েছে স্বপ্নের এই বিশাল দীর্ঘতম সড়কটি। বঙ্গোপসাগরের সৈকতের উপকুল ঘেসে নান্দনিক সৌন্দর্য্যে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যে ঘেরা এই মেরিণ ড্রাইভ সড়কটি দেশ-বিদেশ আগত পর্যটকদের আনন্দ উচ্ছাস আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। হাজার হাজার পর্যটকদের হাত ছানিতে অভিভূত হয়ে বিশাল সমুদ্রের বুকে সূর্যস্থের মনো-মুগ্ধকর অপরুপ দৃশ্য দেখতে পারবে খুব সহজে। এ মহা মেগা প্রকল্পটি উন্নয়নের বাস্তবায়ন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৬ (ইসিবি) সদস্যরা। এদিকে দীর্ঘ দিন এই সড়কটির উদ্বোধন হওয়ার অপেক্ষার প্রহর থাকলেও গত ৬ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন। তার পাশাপাশি শুভ উদ্বোধন হয়েছে টেকনাফ পৌরসভার নাফনদীর উপর নির্মিত সেই বৃহৎ আকারের আর্কষনীয় জেটিটি। এই আকর্ষনীয় জেটিটি দেখার জন্য প্রতিদিন শত শত স্থানীয় যুবক-যুবতীদের মিলন মেলায় পরিনত হয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে স্বাগত জানিয়ে উখিয়া-টেকনাফে আওয়ামীলীগ পরিবারের মধ্যে দেখা দিয়েছিল চাঙ্গাভাব। এবং প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে গন জোয়ারে পরিনত করেছে উখিয়া-টেকনাফের হাজার হাজার জনতা। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার হার থেকে পিছিয়ে পড়া উখিয়া-টেকনাফে শিক্ষার মান বাড়াতে ধারাবাহিকভাবে নতুন নতুন শিক্ষা প্রতিষ্টান তৈরী করে যাচ্ছে। তার পাশাপাশি উখিয়া-টেকনাফের গ্রামীন সড়ক গুলো থেকে শুরু করে এমন কোন সড়ক নেই যে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। টেকনাফ উপজেলা বিভিন্ন দপ্তর থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, বিগত কয়েক বছরের ব্যবধানে টেকনাফ উপজেলায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নব-নির্মিতভাবে নির্মান করা হয়েছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সর্বমোট ২৩টি নতুন ভবন। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন রুপে নতুন সাজে নির্মিত করা হয়েছে বেশ কয়েকটি উল্লেযোগ্য সড়ক, কালর্ভাট, ব্রীজ, এর মধ্যে টেকনাফ সী-বিচ সড়ক, সাবরাং শাহপরীর দ্বীপ সড়ক অন্যতম। যা আগামীতে পর্যটকদের আগমনকে আরো হাত ছানি দেবে। এক কথায় বলতে গেলে দিন বদলের পালা নিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় টেকনাফের মানচিত্র বদলে গেছে। তথ্য সুত্রে আরো জানা যায়, টেকনাফ উপজেলার হাজার হাজার মানুষকে ঘুর্নিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা করার জন্য বর্তমান সরকার বেশ কয়েকটি নব-নির্মিত সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিশেষ সুত্রে জানা যায়, উখিয়া-টেকনাফে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্থানীয় এমপি আলহাজ¦ আবদুর বদিসহ নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন। বিগত কয়েক বছরের ব্যবধানে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডে টেকনাফের মানচিত্র বদলে যাওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন টেকনাফ উপজেলার সাধারণ মানুষ। তার পাশাপাশি সরকারী উন্নয়ন গুলোর সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে অগ্রনী ভুমিকা পালন করার জন্য স্থানীয় এমপি আলহাজ¦ আবদুর রহমান বদির প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
টেকনাফ উপজেলার সরকারী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা নিয়ে স্থানীয় সাংসদ আবদুর রহমান বদি বলেন, স্বপ্নের মেরীন ড্রাইভ সড়কটি প্রথমে পর্যটন নগরী জেলা শহর থেকে শুরু করে উখিয়া উপজেলার ইনানী পর্যন্ত নির্মান করার পরিকল্পনা ছিল। আমি ৯ম জাতীয় সংসদে প্রস্তাব দিয় এই সড়কটি টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ পর্যন্ত করতে পারলে পর্যটন ক্ষাতে আরো উন্নয়ন হবে। দেশী-বিদেশী পর্যটকে মুখরিত হবে বিশে^র দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত উখিয়া-টেকনাফ। এর পরিপেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমার সেই প্রস্তাবকে গুরুত্ব দিয়ে আন্তরিকতার সাথে এই স্বপ্নের মেরীন ড্রাইভ সড়কটি আমাদেরকে উপহার দেন। এবং খুব দ্রুতগতিতে কাজের বাস্তবায়ন শেষ করে। এখন এই সড়কটি শুধু কক্সবাজার বা গোটা দেশের নই বরং বিশে^র অন্যতম দর্শনীয় ও নান্দনিক সড়কে পরিনত হয়েছে। গত ৬ মে স্বপ্নের মেরীন ড্রাইভ সড়কটি শুভ উদ্বোধন করে উখিয়া-টেকনাফের মানুষের জীবন যাত্রার মান বদলে দিয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার হার থেকে পিছিয়ে থাকা এই জনপদ শিক্ষার মান বাড়িয়ে সমৃদ্ধ হবে অর্থনৈতিকভাবে। তার পাশাপাশি স্বাধীনতার ৪০ বছরে যে উন্নয়ন উখিয়া-টেকনাফে হয়নি। গত ৮ বছরের ব্যবধানে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই উন্নয়ন করে বদলে দিয়েছে উখিয়া-টেকনাফের মানচিত্র।