নিউজ ডেস্ক:
আপনাকে হরর এলিমেন্ট সার্চ করতে কোনও ‘ক্রিপি’ সাইটের সন্ধানে মাউস ঘষতে হবে না। ইন্টারনেটের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সাইটেই রয়েছে আঁতকে ওঠার মতো যথেষ্ট উপাদান। রীতিমতো সমীক্ষা চালিয়ে একটি আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট এই সিদ্ধান্তে এসেছে যে, উইকিপিডিয়ার বেশ কিছু এন্ট্রি মাত্রাতিরিক্ত ‘ক্রিপি’ বা সাদা বাংলায় ‘শিউরে ওঠার মতো’। আসুন, দেখে নেওয়া যাক এগুলির মধ্যে পাঁচটি সম্পর্কে-
১। কার্ল টানজ্লের-
জার্মানির এই জীবাণুতত্ত্ববিদ এক যক্ষ্ণারোগগ্রাস্ত মহিলার সেবায় নিযুক্ত ছিলেন। ক্রমে তিনি এই নারীর প্রেমে পড়েন এবং নারীর মৃত্যুর পরেও তার অবসেশন দূর হয়নি। তিনি কবর থেকে ওই নারীর দেহ বের করে এনে নিজের বাড়িতে ৭ বছর রেখে দিয়েছিলেন।
২। পোস্ট মর্টেম ফোটোগ্রাফি-
নামেই বোঝা যাচ্ছে এতে কী রয়েছে। মৃত নারী-পুরুষ-শিশুর অপ্রাকৃত ফোটোগ্রাফে ভর্তি এই পেজ। বিশেষ করে ১৯ শতকের কিছু ছবি তো রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পারে।
৩। কেলি-হপকিনসভিল এনকাউন্টার-
১৯৫৫ সালের আগস্ট মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্টাকিতে এদল প্রাপ্তবয়স্ক ও কমবয়সি পুলিশ স্টেশনে গিয়ে জানান যে, তারা দুই থেকে চারটি এমন কোনও প্রাণীকে দেখেছেন, যাদের কান সূচালো, এবং হাতের বদলে কাঁকড়ার মতো দাঁড়া রয়েছে। এবং তারা তাদের বাড়ি আক্রমণ করেছে। তখন লোকে মনে করে তারা পেঁচা দেখে ভয় পেয়েছেন। কিন্তু পরে জল অন্য দিকে গড়ায়। প্রেত-পিশাচ-এলিয়েন- বহু প্রকার তত্ত্বই খাড়া করা হয় এর পিছনে।
৪। টয় বক্স কিলার-
ডেভিড পার্কার রে নামের মার্কিন এই সিরিয়াল কিলার নারী-নির্যাতনকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল। তার এক নির্যাতন-কুঠুরি ছিল, যাকে সে ‘টয় বক্স’ বলে ডাকত। এখানে নির্যাতনের যাবতীয় সামগ্রী মজুদ রাখত সে। অনুমান করা হয়, প্রায় ৬০ জন নারীকে সে নির্মম উপায়ে হত্যা করে।
৫। এক্সপ্লোডিং হেড সিনড্রোম-
এ এক মনোরোগ। এতে আক্রান্ত মানুষ মনে করেন, তারা মাথার ভিতরে কোনও না কোনও শব্দ শুনেত পাচ্ছেন। এই শব্দগুলি গুলি বা বোমা ফাটার মতো। এই রোগের কারণ আজও অজানা।