ইরানে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে তালেবানের এক বিক্ষুব্ধ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। খবর এএনআইয়ের।
নিহত তালেবান কমান্ডারের নাম মৌলভি মাহদি মুজাহিদ। তিনি তালেবান সীমান্ত বাহিনীর হাতে নিহত হন।
তালেবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মাহদি একজন অসন্তুষ্ট তালেবান কমান্ডার ছিলেন। তিনি পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশ দিয়ে ইরানে যেতে চেয়েছিলেন। এ সময় তিনি তালেবান সীমান্ত বাহিনীর হাতে নিহত হন।
মাহদি এমন সময় নিহত হলেন, যখন সীমান্তবিরোধের জেরে ইরানের সঙ্গে আফগানিস্তানের উত্তেজনা বাড়ছে।
কাবুলের ইরান দূতাবাস জানিয়েছে, দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক উপমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আফগানিস্তানে এসেছে। তারা সীমান্তবিরোধ নিয়ে তালেবান কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে।
উত্তর আফগানিস্তানের সার-ই-পোলের বলখাব জেলায় তালেবানের সঙ্গে প্রথমে বিরোধে জড়ান মাহদি। পরে তালেবানের সঙ্গে তিনি একাধিকবার সংঘর্ষে জড়ান।
মাহদিই একমাত্র হাজারা তালেবান কমান্ডার, যিনি তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন।
তালেবান সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিটি গত বুধবার প্রচার করা হয়। আফগানিস্তানের স্থানীয় সংবাদ পোর্টাল খামা প্রেস জানায়, মাহদি কবে নিহত হয়েছেন, তা বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়নি। তবে বিবৃতিতে মাহদিকে একজন ‘বিদ্রোহী’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
১৩ বছর আগে মাহদি তালেবানের সঙ্গে যুক্ত হন। তখন আফগানিস্তানে বিদেশি বাহিনী অবস্থান করছিল। আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে রিপাবলিকান পার্টির পতনে মাহদি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
গত বছরের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করে তালেবান। তালেবানের ক্ষমতা দখলের প্রায় ১০ মাস পর গোষ্ঠীটির সমালোচনা শুরু করেন মাহদি।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মাহদি তালেবান সরকারে হাজারাদের অধিক অংশগ্রহণ চেয়েছিলেন। কিন্তু তালেবান নেতারা তাঁর দাবি উপেক্ষা করেন।
আফগানিস্তানে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও তালেবান নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু তাঁরা এ দাবি আমলে নেয়নি।