ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শেখ হাসিনা হলের যাবতীয় সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন হলটির হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. এ কে এম শামসুল হক সিদ্দিকী।
আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে হলটির টিভির রুমে প্রায় ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা হলের যাবতীয় সমস্যা তুলে ধরেন। সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম সমস্যা হিসেবে উঠে এসেছে সিট সংকট, ওয়াইফাই ইন্টারনেটের ধীরগতি, পানির সমস্যা, ডাইনিংয়ের খাবারের মান উন্নয়ন।
হলের যৌক্তিক সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের এই বৈষম্য আন্দোলনের উদ্দেশ্যই ছিলো দেশ থেকে বৈষম্য দূর করা সেই প্রেক্ষিতে আমরা চাই হলেও প্রতিটা সেক্টরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষম্য দূর হোক।
আরেক শিক্ষার্থী জানায়, জুনিয়ররা সিঙ্গেল সিটে অবস্থান করছে এবং সিনিয়ররা ডাবলিং করে আসছে, এটা দেখতে অনেকটা দৃষ্টিকটু। তাছাড়া হলের সান্ধ্য আইন বাতিলেরও দাবী জানায় তিনি, একান্ত সান্ধ্য আইন বাতিল না করতে পারলেও হলে প্রবেশের নিয়মের বিষয়ে কিছুটা শিথিলতার দাবীও করেন তিনি।
শিক্ষার্থীরা আরো জানান, রেফারেন্সের মাধ্যমে অনেক শিক্ষার্থী হলে অবস্থান করছে। রেফারেন্সের সিটগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিলে অনেকাংশে সিট ক্রাইসিস দূর করা সম্ভব। তাছাড়া হলে যথাযথ পরিচ্ছন্নতা দাবী জানায় তারা। এর পাশাপাশি হলের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি সাধনের সাথে সাথে হলের লেখাপড়ার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
হলটির হাউস টিউটর অধ্যাপক খন্দকর আরিফা আক্তার বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তানের মতোই। তারা যেভাবে ভালো থাকবে সেভাবেই আমরা কাজ করার চেষ্টা করবো। ইতোমধ্যেই হল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করেছে, আমরা চাই পরবর্তীতেও সকল সমস্যা সমাধান করার। তবে সব কিছুর জন্যই নির্দিষ্ট সময় প্রয়োজন।
প্রভোস্ট ড. এ কে এম শামসুল হক সিদ্দিকী বলেন, শিক্ষার্থীদের যেসব সমস্যা আছে তা অতিদ্রুত সমাধান করার চেষ্টা করবো। তাছাড়া কোন প্রকার সিট রেফারেন্সের জায়গা আমার কাছে প্রাধান্য পাবে না ইনশাআল্লাহ। নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত প্রভোস্টের মধ্যে আমার হলেই প্রথম, আমরা ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। তাছাড়া হলে নিয়মিত একজন নারী চিকিৎসক নিয়োজিতের বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা হয়েছে অতিদ্রুতই তা বাস্তবায়নও করা হবে।
ইবিতে শেখ হাসিনা হল হবে অন্যান্য হলের মডেল হল, সে বিষয়ে কাজ করবো আমরা। এজন্য হলের শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তাদের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।