নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিটিও ফোরামের অঙ্গ সংগঠন ইনফরমেশন সিকিউরিটি এলায়েন্স (আইএসএ) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।
সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের সাগর-রুনি মিলনায়তনে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করল আইএসএ।
আইএসএ বিষয়ে সিটিও ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার জানান, সাইবার সিকিউরিটি ওপর সমাজের সচেতনতা বৃদ্ধি করে নিরাপদে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে সহায়তা করা হবে আইএসএ’র অন্যতম লক্ষ্য। সাইবার সিকিউরিটি ওপর অপর্যাপ্ত জ্ঞান, দক্ষ জনশক্তির অভাব এবং অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা সচেতনতা দূর করতে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ইতিমধ্যে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এগুলোর মধ্যে সঠিক সমন্বয় সাধন করা। এছাড়াও আইএসএ সাইবার নিরাপত্তা বিধানে আইনগত কার্যক্রম ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন বিষয়ে সরকারসহ ব্যাংক, শিল্প ও অন্যান্য ব্যবসা সংগঠনগুলোকে সমর্থন করে সবার সঙ্গে কাজ করবে।
তিনি বলেন, দেশে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যক্তি বা সাংগঠনিকভাবে নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতামূলক কাজ হচ্ছে। এই কর্মকাণ্ডগুলোকে একীভূত করতে পারলে তার সফলতা অনেকগুণ বেড়ে যাবে। যা এ মুহূর্তে খুবই প্রয়োজন। এই প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে এবং নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষ্যেই সিটিও ফোরামের এই পদক্ষেপ।
মূল বক্তব্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাইবার সিকিউরিটি সেন্টারের ডাইরেক্টর ড. তৌহিদ ভূইয়া বলেন, অনলাইন সুবিধা ব্যবসার জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করে, কিন্তু একই সময়ে সাইবার ঝুঁকির কারণে এটা সে প্রতিষ্ঠানের জন্য বিপুল আর্থিক ক্ষতির কারণও হতে পারে। বাংলাদেশের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে সৃষ্ট বিভিন্ন সাইবার ঝুঁকি, সাইবার ক্রাইম মোকাবেলায় অপর্যাপ্ত প্রযুক্তির জ্ঞান ও সুশাসনের অপর্যাপ্ত উদ্যোগের কারণে মানুষ ক্রমবর্ধমান সমস্যা মোকাবেলায় যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারছে না। ফলে সাইবার ক্রাইম একটি প্রধান হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি দেশের উন্নয়নের প্রধান হাতিয়ার। দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রয়োগ নিশ্চিতকরণে সরকার বদ্ধপরিকর। সবক্ষেত্রে এর প্রয়োগে যে সফলতা এসেছে তা আজ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তবে এক্ষেত্রে ব্যবহারিক নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ সেই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো তথ্যপ্রাপ্তি।
বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার বলেন, ‘বর্তমান সময় ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের যুগ। সাইবার সিকিউরিটি বা তথ্য নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ইন্টারনেট ব্যবহার এবং এর অবাধ বিচরণে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা জরুরি, আর এই প্রয়োজনীয়তা নিশ্চিতকরণে প্রযুক্তি পণ্য-সেবার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজন গণসচেতনতা। এক্ষেত্রে সিটিও ফোরামের এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দোহাটেকের চেয়ারম্যান সামসুদ্দোহা, বিডিসিইআরটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সুমন আহম্মদ সাবির, ফোরামের মহাসচিব ড. ইজাজুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমইএস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. হেলাল উদ্দিন আহম্মদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের আইটি ম্যানেজার মো. আরিফ এলাহি মানিক।