নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যানকে কটুক্তি করে বক্তব্য দেওয়ায় একই ইউনিয়নের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হাসান চঞ্চলের সমর্থক তোয়াজ আলী (৪০)’র মাথা ফাটালো চেয়ারম্যান সমর্থক ছোটো ভাই রহিস উদ্দীন। গতকাল বুধবার রাত ১০ টার দিকে বেলগাছি মাঠপাড়ার পৈত্রিক বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে পরিবারের সদস্যরা আহত তোয়াজ আলীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। আহত তোয়াজ আলী বেলগাছি ইউনিয়নের মাঠাপাড়ার মৃত শকির উদ্দীনের ছেলে।
জানা যায়, কয়েকদিন পূর্বে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান চঞ্চল এক কর্মী সমাবেশ করেন। এই সমাবেশ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মন্টুর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে আপত্তিকর বক্তব্যের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ভাইরাল হয় বলে অভিযোগ। গত মঙ্গলবার বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মন্টুও পাল্টা একটি কর্মী সমাবেশ করেন। এরই জের ধরে গতকাল বুধবার মৃত শকির উদ্দীনের মেজ ছেলে মাহামুদুল হাসানের সমর্থক তোয়াজ আলী ও চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মন্টুর সমর্থক ছোট ছেলে রহিস উদ্দীন মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ছোট ভাই রহিস উদ্দীন বিদেশি টর্স লাইট দিয়ে বড় ভাই তোয়াজ আলীর মাথায় আঘাত করে। এতে তোয়াজ উদ্দীন রক্তাক্ত জখম হলে পারিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এবিষয়ে মাহমুদুল হাসান চঞ্চল বলেন, গত মঙ্গলবার চেয়ারম্যান তাঁর কর্মীসভায় আমাকে গালাগালি করে। এতে আমার কর্মীরা ওখানে গেলে কথাকাটাকাটি হয় এবং আমার কর্মী তোয়াজকে তারই ছোট ভাই চেয়ারম্যানের কর্মী রহিস উদ্দীন মারধর করেছে।
আহত তোয়াজ আলী বলেন, আসন্ন বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মাহমুদুল হাসান চঞ্চনের কর্মী হিসেবে কাজ করায় তারা আমাকে নিয়ে কটউক্তি করলে আমি প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান মন্টুর কর্মীরা সহ আমারই ছোট ভাই আমাকে টর্চ লাইট দিয়ে মেরে আহত করেছে।
আলমডাঙ্গা থাকা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম মন্টু বলেন, সব ভাইগুলো আমার পক্ষে। শুধু তোয়াজ আলী ছাড়া। হইতো কোন কিছু নিয়ে ভাইতে ভাইতে মারামারি হয়েছে। আবার তাদের মিল হয়ে যাবে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, তোয়াজ আলীর মাথা গুরুতর আঘাত লেগেছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে তিনি শংকামুক্ত কিনা এখনি বলা সম্ভব হচ্ছে না। হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। অবস্থার অবনতি হয়ে রেফার্ড করা হতে পারে ।
আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, মারামারির এ বিষয়ে আমার জানা নাই। তবে অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবো।