নিউজ ডেস্ক:ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের কার্যক্রম প্রায় ১ বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের কার্যক্রম পুনরায় চালু উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়। ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের কার্যক্রম প্রায় ১ বছর বন্ধ থাকার পর পুনরায় চালু করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৪টায় সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে ট্রেন চলাচলের লক্ষ্যে আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনের কার্যক্রম পুনরায় চালু উপলক্ষে এক সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাশির উদ্দিন। এ সময় আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পশ্চিমাঞ্চলীয় রেলওয়ের পাকশী ডিভিশনের ডিআরএম প্রকৌশলী আশাদুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রকৌশলী মনিরুজ্জামান, সিগনাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন অফিসার রুবাইয়াত শরিফ, বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন আনন্দ, বিভাগীয় বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী রিফাত সাকিল, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদীর গনু, আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন আলী। বিভাগীয় সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মাসুদ সরোয়ারের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. সালমুন আহম্মেদ ডন, পৌর আওয়ামী লীগের সম্পাদক পৌর কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, ওসি (তদন্ত) গাজী শামিমুর রহমান, উপপরিদর্শক জিয়াউর রহমান, রেলস্টেশন সংগ্রাম কমিটির সদস্য আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সম্পাদক হামিদুল ইসলাম, সাংবাদিক রহমান মুকুল, প্রশান্ত বিশ্বাস, সাইফুর রহমান পিন্টু, স্টেশন মাস্টার মিন্টু মিয়া প্রমুখ। জানা গেছে, প্রায় ১ বছর পূর্বে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি উপমহাদেশের একমাত্র দ্বিতল রেলওয়ে স্টেশন আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনটির কার্যক্রম জনবলের অভাব দেখিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে, আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম বন্ধের ঘটনায় আলমডাঙ্গাবাসী বিক্ষোভে ফেটে পড়ে; শুরু করে আন্দোলন-সংগ্রাম, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিম জোনে অর্ধশতাধিক রেলস্টেশন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মূলত, লোকবল সংকটে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পাকশী রেলওয়ের ডিআরএম আশাদুল হক জানান, এখন শুধুমাত্র ঐতিহ্যবাহী আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করা হচ্ছে। পরে লোকবল নিয়োগ সাপেক্ষে বন্ধ হয়ে যাওয়া অন্যান্য স্টেশন চালু করা হবে। তিনি বলেন, রেলওয়ের চাকরি অত্যন্ত টেকনিক্যাল। রেলে নিয়োগ পাওয়ার পর দুই বছর রেল পরিচালনা বিষয়ে প্রশিক্ষণের পর স্টেশন মাস্টার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন চালু করতে অবসরে যাওয়া স্টেশন মাস্টারকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনটির পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম পুনরায় চালু হওয়ার সংবাদে আলমডাঙ্গাবাসীর মুখে হাসি ফুটেছে। আলমডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন রক্ষা সংগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক কাউন্সিলর মতিয়ার রহমান ফারুক প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আশপাশের ৩-৪টি উপজেলার মানুষের এই প্রয়োজনীয় রেলস্টেশনটি চালুর দাবি ছিল অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।