আলমডাঙ্গায় ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন!

0
8

নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গা উপজেলার জাহাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বড় ভাই আব্দুল খালেককে (৬৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে তারই ছোট ভাই। গতকাল রোববার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রামে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল খালেক জাহাপুর গ্রামের মৃত নুর বক্সের ছেলে।আলমডাঙ্গা উপজেলার জাহাপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বড় ভাই আব্দুল খালেককে (৬৫) পিটিয়ে হত্যা করেছে তারই ছোট ভাই। গতকাল রোববার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জাহাপুর গ্রামে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল খালেক জাহাপুর গ্রামের মৃত নুর বক্সের ছেলে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রকাশ্য নিহত খালেকের মেজো ভাই আব্দুল লতিফ ও তার বড় ছেলে ইকরামুল হাতুড়ি ও বাশেঁর লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তাকে হত্যা করে। বিকাল ৪টার দিকে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহত খালেকের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে চুয়াডাঙ্গা মর্গে প্রেরণ করে। এই ঘটনায় নিহত খালেকের ছেলে বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছিলো। এলাকাসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ ইউনিয়নের জাঁহাপুর গ্রামের মৃত নুর বক্সের মেয়ে মিছরি দানা ও একই গ্রামের মৃত মোবারক উদ্দীনের ছেলের সাথে কয়েক যুগ পূর্বে বিবাহ হয়। গত ৫ বছর পূর্বে মিছরি দানার শ্বশুর মোবারক হোসেন ও তার মেজো চাচা আব্দুল লতিফ, মিছরি দানার ছোট চাচা বদর উদ্দীনের নিকট থেকে ২২ কাঠা জমি কেনে। মিছরি দানার বৈবাহিক সূত্রে তার শ্বশুর মোবারক হোসেন। এরই কারণে শ্বশুরের বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন তারা। কিন্তু তার মেজো চাচা আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে ইকরামুল মিছরি দানার শ্বশুর বাড়ির জমিতে বসবাস করতে বাধা দেয়। কিন্তু ওই জমিতে ক্রয় অংশে মিছরি দানার শ্বশুরের ১১ কাঠা জমির উপরে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করা হলেও বিভিন্ন সময় তার চাচা ও চাচাতো ভাই বাড়িতে গিয়ে গোলোযোগ সৃষ্টি করে।ইতোপূর্বে, মিছরি দানার চাচা আব্দুল লতিফ ও তার ছেলে ইকরামুলের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় জমি সংক্রান্ত মামলা করে। মামলায় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ আটক করে থানায় আপোষ-মিমাংশের মাধ্যমে ইকরামুলকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসার পর থেকেই আবারো গোলযোগের সৃষ্টি করে। এরই সূত্র ধরে, গতকাল রোববার সকালে জমি মাপা আমিনের মাধ্যমে জমি দু’পক্ষের ভাগাভাগির সময় আব্দুল লতিফ ও ছেলে ইকরামুল জোরপূর্বক রাস্তার পাশের জমি দখল করার চেষ্টা চালায়। এসময় মিছরি দানা তার বড় ভাই আব্দুল খালেককে মিমাংশার জন্য ডেকে আনলে সে ঘটনাস্থলে এসে সঠিকভাবে ভাগ করার কথা বললে লতিফ ও ইকরামুল রাগান্বিত হয়ে ওঠেন। দলিল দেখলেই বোঝা যাবে কোথায় কার জমি, এই কথা বলার সাথে সাথে লতিফ বাঁশ তুলে খালেককে পিটাতে শুরু করে। পরে ইকরামুল তার মাজায় থাকা হাতুড়ি দিয়ে বুকে ও পিঠে পিটাতে থাকলে ঘটনাস্থলেই মারা যায় আব্দুল খালেক। হত্যাকান্ডের সময় মৃত সাত্তারের ছেলে সাইফুল ও দেলোয়ার বাধা দেওয়ার সময় ওই একই অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে মারধর করলে তারাও মারাক্তক জখম হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার সকাল থেকে জমি মাপার কাছে লতিফসহ তিন ভাই মিলে জমি নিয়ে বিরোধ মিমাংশা করার চেষ্টা চালাচ্ছিলো। যখন ইকরামুল ও তার বাবা লতিফ জমি জোরপূর্বক দখল করতে মরিয়া হয়ে ওঠে, ঠিক তখনি সমাধানের জন্য বড় ভাই আব্দুল খালেককে ডেকে আনে। আব্দুল খালেক জমি সংক্রান্ত ও হত্যাকান্ডের মত ঘটনা ঘটবে বলে কখনো ভাবেনি। তবে, লতিফ ও তার ভাতিজা হত্যাকান্ডের মত ঘটনার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুতি ছিলো বলে জানায়। স্থানীয়রা আব্দুল খালেককে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত আব্দুল খালেকের ছেলে বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় সুরতহাল রির্পোট শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।এই ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবির জানান, জমি সংক্রান্ত জের ধরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থল থেকে কাউকে আটক করা যায়নি। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলে পালিয়েছে। তাদের আটক করতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।