তানভির সোহেল,আলমডাঙ্গা: আলমডাঙ্গায় করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করেই খুলেছে বিভিন্ন শপিং সেন্টার ও দোকানপাট। সকাল হলেই বাড়ছে জনস্রোত। দোকান খোলা নির্দেশনার ২য় দিনে বেড়েছে ক্রেতা সমাগম। মানছে না করোনা ভাইরাস সতর্কতা। পুলিশ শহরের মার্কেটের মূল অংশে কঠোর অবস্থানে থাকলেও দোকানে ত্রিব্য ভিড় বাড়ছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রশাসনকে আরো কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে বলে দাবি করেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল থেকেই ক্রেতা-বিক্রেতার পদচারণায় সরগরম থাকছে আলমডাঙ্গার গার্মেন্টস পট্রিসহ বিভিন্ন বাজারে। মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে লকডাউন কিছুটা শিথিল করে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলার নির্দেশনা দেয় প্রশাসন। এরই নির্দেশনা অনুযায়ী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করে। শহর জুড়ে দোকান খোলার আগের দিন মাইকিং করা হয়। নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট এর উপস্থিতিতে সেনাবাহিনি,পুলিশ মহড়া দেয়।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে আলমডাঙ্গা শহরে প্রবেশ মুহুর্তে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরিহিত হয়ে বাজারে প্রবেশের নির্দেশ প্রদান করেন। এছাড়াও, বাজারে দোকান মালিকেরা দোকানের সামনে সাবান পানির ব্যবস্থাসহ রং দিয়ে দুরত্ব বজায় করে দাড়ানোর ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়।
তবে, দোকান মালিকের পক্ষ থেকে হাত ধোঁয়ার সাবান পানির ব্যবস্থা করলেও মানছে না সাধারণ জনগণ। দোকানে মধ্যে গায়ের সাথে গা লাগিয়ে কেনাকাটা করছে তারা। অধিক মূনাফা অর্জনের লক্ষ্যে দোকান মালিকেরা দুরত্ব বজায় রাখতে অনিহা প্রকাশ করছে।
আলমডাঙ্গা গার্মেন্ট মালিক সমিতির সভাপতি সৈয়দ মনি জানান, ব্যবসা পরিচালনার জন্য সরকারী দেওয়া নির্দেশনা পালন করার চেষ্টা করছি। তবে, গ্রাম্য মানুষের চাপের কারণে বাড়ছে জনসমাগম। প্রতিটি দোকান মালিকের পক্ষ থেকে ক্রেতাদের দুরত্ব বজায় রাখতে নির্দেশ প্রদান করা হচ্ছে।
ঢাকা এনাম মেডিকেল হাসপাতালের চিকিৎসক ড. আবু জাফর সমীকরণকে বলেন, অঘোষিত লকডাউন কিছুটা শিথিল হতেই নানা বিভিন্ন অজুহাতে বাইরে বের হয়েছে অসংখ্য মানুষ। সীমিত পরিসরে শপিং মল ও দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও লোকজন যেভাবে ঘর থেকে বের হয়ে আসছে তাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাটা কঠিন হয়ে পড়বে।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহি অফিসার লিটন আলি বলেন, সার্বক্ষণিক প্রশাসনিক ভাবে বাজার মনিটরিং সহ দোকানে যেনো জনসমাগম না হয় সে ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রতিটি দোকান মালিক সরকারের দেওয়া নির্দেশ মেনে ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।