নিউজ ডেস্ক: আলমডাঙ্গা রেলস্টেশন থেকে উদ্ধার হওয়া কিশোরীর পরিচয় মিলেছে। গতকাল শুক্রবার তার পিতা আলমডাঙ্গার হারদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ওই কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধী উল্লেখ করে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন। এ সময় পুলিশ ওই কিশোরীর পিতার কাছ থেকে লিখিত নিয়ে তাকে তার পিতার হাতে তুলে দেয়।
জানা গেছে, গত বুধবার আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে এক কিশোরী ঘোরাফেরা করার সময় স্থানীয় লোকজনের জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছিল, তার নাম মিষ্টি খাতুন। সে ছোটবেলা থেকে রাজশাহীর মসজিদ মোড়ের রাজ নামের এক ভদ্রলোকের বাসায় আট বছর ধরে কাজ করত। সেই থেকে তাদের ছাড়া সে আর কাউকে চেনে না। এমনকি তার পিতা-মাতার নামও সে জানে না। বুধবার সকালে বাসার মালিক রাজ ও তাঁর পরিবারের লোকজন বিদেশে চলে যাচ্ছেন জানিয়ে ওই কিশোরীকে তাঁরা কপোতাক্ষ ট্রেনে তুলে দেন। পরে বেলা ১১টার দিকে ওই কিশোরী আলমডাঙ্গা রেলস্টেশনে নামে। এ সময় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হারদী হাসাপাতলে পাঠিয়ে দেন। সে দিন থেকেই ওই কিশোরী হারদী হাসপাতালেই ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে ছিল।
এদিকে, এ সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকাসহ ফেসবুকে প্রচার হলে ওই কিশোরীর পরিবারের লোকজনের নজরে আসে। পরে গতকাল শুক্রবার ওই কিশোরীর পিতা কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর গ্রামের জিয়ারুল মোল্লা আলমডাঙ্গার হারদী হাসপাতালে আসেন। তিনি জানান, তাঁর কন্যার নাম মিষ্টি নয়, বিথি খাতুন। সে মানসিক প্রতিবন্ধী। কিছু দিন আগেও এভাবে সে বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া শহরে চলে গেলে পরে তাকে খুঁজে নিয়ে আসা হয়। তথ্য-প্রমাণসহ লিখিত দিয়ে তিনি তাঁর কন্যাকে পুলিশের কাছ থেকে বাড়ি নিয়ে যান।