হাবিবুল ইসলাম হাবিব: টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীরদ্বীপ নাফনদীর পয়েন্টে রোহিঙ্গা বোঝাই নৌকা ডুবির ঘটনায় আরো ১৩ টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এনিয়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ২৬ জন রোহিঙ্গার মৃতদেহ উদ্ধার হল। এদের মধ্যে ১৬ জন শিশু, ৯ জন নারী ও ১ জন পুরুষ। এদের সবাইকে শাহপরীরদ্বীপে স্থানীয়ভাবে দাফন করা হয়েছে। এদিকে এ পর্যন্ত ১৭ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও ১৫ জনের মতো রোহিঙ্গা নিখোঁজ থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দিন খান জানান, টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ১৩টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গত সোমবার রাতে টেকনাফ সদরের সমুদ্র সৈকতের পৃথক দু’টি স্থানে ৪ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আবার টেকনাফের মুন্ডারডেইল ও খুরেরমুখ এলাকায় উদ্ধার হয়েছে ৪ টি লাশ। এছাড়া সেন্টমার্টিন থেকে ২টি শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে টেকনাফ সমুদ্র সৈকতের নোয়াখালী এলাকা থেকে পুলিশ ও ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা আরও ৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে।
বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পরিদর্শক কাঞ্চন কান্তি পাল জানান, উদ্ধার ৩ জনের মধ্যে ১ শিশু ও ২ নারী।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা জানান, প্রায় ৬০/৬৫ জনের মতো রোহিঙ্গা নিয়ে নৌকাটি মংডুর নাইক্ষংদিয়া এলাকা থেকে গত রোববার রাতে বাংলাদেশের শাহপরীরদ্বীপ পয়েন্টে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল। এসময় ডুবো চরে ধাক্কা লেগে রোববার রাতে টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপের নাফ নদীর ঘোলার চর পয়েন্টে দূর্ঘটনায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের উপর সেদেশের সেনাদের নির্যাতনের কারণ এবং খাদ্যাভাবে রোহিঙ্গারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এখনো নাফনদী পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পালিয়ে আসছে।
এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের উখিয়ার ইনানীতে একটি রোহিঙ্গা বোঝাই বোট ডুবির ঘটনায় ২১ জন রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার হয়েছিল।
গত ২৫ আগস্ট থেকে এপর্যন্ত অন্তত ৩০টি বোট ডুবির ঘটনায় ২ শতাধিক রোহিঙ্গার লাশ উদ্ধার হয়েছে।