মাসুদ রানা, মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ তিন দিনের ব্যবধানে মেহেরপুরে আবারো কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হেনেছে। রোববার রাতে পৌনে এক ঘন্টার ঝড় বৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অর্ধ শতাধিক কাঁচা বাড়িঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। বিপাকে পড়েছেন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থরা।
রাত আটটার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আঘাত হানে। ঝড়ের গতিবেগ বাড়ার সাথে সাথে যুক্ত হয় বৃষ্টি। মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে এক দুর্যোগ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। জেলার বিভিন্ন গ্রামের অর্ধ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ির টিনের ছাউনি উড়ে যায়। বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল মাসুম ইকবালের একতলা ঘরের সিঁড়ি কক্ষের টিন উড়ে বাড়ির পাশের্^র বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখা গেছে। একই সময়ে গাংনী বাস স্ট্যান্ডের রফিক মিয়ার ফলের দোকানের ছাউনি উড়ে যায়। এছাড়াও এ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে এবং গাছপালা ভেঙ্গে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে ঝড়ের আঘাতে ভেঙ্গে পড়ে গাছ-গাছালি। বড় বড় ইপিল ইপিল গাছ উপড়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে যানবাহন আটকে পড়ে চোখতোলা এলাকায় দুই কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন পড়ে। গাংনী থানা পুলিশ করাত দিয়ে গাছ কেটে তা অপসারণ করে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পুলিশ ও এলাকাবাসী প্রায় দেড় ঘন্টা ধরে চেষ্টায় সড়কের উপরে পড়ে থাকা গাছ অপসারণ করা হয়। এর পর থেকে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
ঝড়ের সময় থেকে জেলা বিদ্যুতহীন হয়ে পড়েছে। গ্রাম ও শহরের অনেক স্থানে বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে পড়েছে। লাইন মেরামত করে বিদ্যুৎ চালু হতে কত সময় লাগবে তা নিশ্চিত কর বলতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। তবে রাতে গাংনী শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুত চালু হয়।
এদিকে বুধবার রাতে দুই ঘন্টা ব্যাপী ঝড় বৃষ্টির ফলে নি¤œাঞ্চলের পাট ও বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। ধান কাটার আগ মুর্হূতেই ক্ষেতের সাথে নুইয়ে পড়ে। আজকের ঝড়বৃষ্টিতে ধান ক্ষেতে জলাবদ্ধা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মারাত্মক ফলন বিপর্যয়ের আশংকায় দিশেহারা হড়ে পড়েছেন চাষীরা। অপরদিকে নীচু এলাকার পাটক্ষেতে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।