নিউজ ডেস্ক: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে ৯ বছর বয়সের শিশু ধর্ষিত হয়েছে। গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ৫০ বছর বয়স্ক এক ধর্ষক শিশুটিকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে গ্রামের পাশে কামারজোল মাঠের ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে তাকে র্ধষণ করে। প্রভাবশালী ধর্ষক ও তার পরিবারের সদস্যদের অব্যাহত চাপ ও হুমকির মুখে অসহায় ওই শিশুটির পরিবার ভীত ও আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ার পর অবশেষে জীবননগর থানায় ধর্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচিত হয়ে ওঠায় এক জনপ্রতিনিধির চাপের মুখে আলামত নষ্ট করে উপযুক্ত মূল্য দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার পয়তাঁরা করা হয়। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীকে তারা প্রভাবিত করে। গতকাল বুধবার বিকালে জীবননগর থানার ওসি তদন্ত ফেরদৌস ওয়াহিদ ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জীবননগর থানার এসআই জাহিদ হোসেন মিয়া বলছেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ওই শিশুর ডাক্তারী পরীক্ষা ও জবানবন্দী রের্কড করা হবে। ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবার ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী গত সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে গ্রামের পাশে তার পিতার সাথে খেজুর রসের গুড় তৈরীর বাইনে সহযোগিতা করছিল। রস জ্বালিয়ে গুড় তৈরী শেষে তার পিতা শিশুটিকে গুড় দেখে রাখার দায়িত্ব দিয়ে মাঠে খেজুর গাছ চাচ দিতে যায়। এ সুযোগে গ্রামের মৃত ইউছুফ আলী ম-লের ছেলে লম্পট ইসলাম ম-ল (৫০) শিশুকে প্রলোভন দেখিয়ে ভুট্টাক্ষেতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ভুক্তভোগী ওই শিশুর পিতা এ প্রতিবেদককে বলেন, ধর্ষণ করাকালে মেয়ের আর্তচিৎকারে লোকজন ছুটে আসলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। ওই শিশুটির পরিবার বলছে, ইউপি সদস্যসহ ঘটনাটি কয়েকজনকে জানিয়ে কোন প্রতিকার মেলেনি। আন্দুলবাড়িয়া ইউপির ৮নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ মাফিজুর রহমানের নিকট এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তার পিতা আমাকে কি যেন বলতে চেয়েছিল। ব্যস্ত থাকায়, শুনা হয়নি। পরে দেখা করতে বলেছিলাম। তিনি আর আসেনি। জীবননগর থানার অফিসার ইনর্চাজ গণি মিয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, ওই শিশুটির মা রিনা খাতুন বাদী হয়ে ধর্ষক ইসলাম ম-লের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। অভিযুক্ত ধর্ষককে গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।