নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের খন্দকার কবির হোসেন ওরফে খোদা বকসের ঘরজামাই ভুয়া সেনা সদস্য মফিজ প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিরুদ্দেশ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মফিজ যশোর জেলার নড়াইলের আছির উদ্দীন মোল্লার ছেলে। এ ঘটনায় জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের প্রয়াত মীর মকসুদুল হকের ছেলে আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের পল্লী চিকিৎসক বুলু ডাক্তার বাদী হয়ে প্রতারক মফিজের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পল্লি চিকিৎসক বুলু অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারক মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে মফিজ নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা পরিচয় দেয়। সেনাবাহিনীর রেশন, চিনি, তেল, কম্বল, চাল, মশারী, গোল্ডলিফ ও বেনসন সিগারেট ক্রয় করে খোলা বাজারে বিক্রি করলে ভাল লাভ হবে এমন প্রলোভন দেখিয়ে গত ১০ মার্চ ২০২০ তারিখে ব্যবসার কথা বলে তাঁর কাছ থেকে কৌশলে নগদ ৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। বিপরীতে মোস্তাফিজুর রহমান স্বাক্ষরিত অগ্রণী ব্যাংক আন্দুলবাড়ীয়া শাখার অধীনে একটি চেক প্রদান করেন।
দীর্ঘদিন নানা টালবাহনা ও বিশ্বাস ভঙ্গ করার পর তিনি চেকটি ব্যাংক কর্মকর্তার নিকট জমা দিলে পর্যাপ্ত ফান্ড নেই বলে ব্যাংক থেকে চেকটি ফেরত দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অত্র নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে চেকের বর্ণিত টাকা ফেরত প্রদান করা না হলে বিজ্ঞ আদালতে উপযুক্ত মামলা দায়ের করা হবে বলে মর্মে তিনি উল্লেখ করেন।
এছাড়াও প্রতারক মফিজের প্রতারণার শিকার হয়েছেন আন্দুলবাড়ীয়া গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের পুত্র মীর শহিদুল ইসলাম খোকনের নিকট থেকে হাতিয়ে নেয় নগদ ৩০ হাজার টাকা, শের আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম বলাই এর নিকট থেকে ১০ হাজার, কানুর পুত্র মতিয়ার রহমানের নিকট থেকে ২৩ হাজার টাকা, কদম আলীর পুত্র দাউদ হোসেনের নিকট থেকে ১৮ হাজার টাকা, প্রয়াত খন্দকার নুরুজ্জামান নুরুর পুত্র খন্দকার রফিকুল ইসলাম খোকনের নিকট থেকে ১৩ হাজার টাকা, আলতাফে হোসেনের পুত্র জুয়েলের নিকট থেকে ১১ হাজার টাকা, প্রয়াত ওয়াছদ্দিনের পুত্র রফিকুল ইসলামের নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা, রাজমিস্ত্রী মিজানুর রহমানের নিকট থেকে ৮ হাজার টাকা ও আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের হার্ডওয়ার ব্যবসায়ী হারদা গ্রামের শেখ আশিকুল ইসলাম রনির কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীমহল ও সচেতন এলাকাবাসী পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদের সুদৃষ্টি কামনাসহ আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।