চুয়াডাঙ্গায় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় নবাগত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার
নিউজ ডেস্ক:‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ রূপকল্প প্রণয়ন করা হয়েছিল। এবার আমরা ২০৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখছি। আপনারা কী করতে চান, আপনাদের পরিকল্পনা ও সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই। আজকের চুয়াডাঙ্গাকে আগামীতে বদলে দিতে চাই।’ গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কর্মরত সব ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নবাগত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়ন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন জনসম্পৃক্ততা ও আপনাদের সহযোগিতা। আপনারা জানেন, কী করলে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন হবে। তা আমার সঙ্গে শেয়ার করুন, আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করব। আপনাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি। আমি সমস্যার থেকে সম্ভাবনায় বেশি জোর দিয়ে থাকি। সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে একসময় সমস্যা আর থাকবে না। কিন্তু সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলে তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।’‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ২০২১ রূপকল্প প্রণয়ন করা হয়েছিল। এবার আমরা ২০৪১ সালের রূপকল্প বাস্তবায়নের স্বপ্ন দেখছি। আপনারা কী করতে চান, আপনাদের পরিকল্পনা ও সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে চাই। আজকের চুয়াডাঙ্গাকে আগামীতে বদলে দিতে চাই।’ গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে তিনটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলায় কর্মরত সব ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন নবাগত জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। তিনি আরও বলেন, ‘আমি চুয়াডাঙ্গা জেলার উন্নয়ন করতে চাই। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজন জনসম্পৃক্ততা ও আপনাদের সহযোগিতা। আপনারা জানেন, কী করলে চুয়াডাঙ্গার উন্নয়ন হবে। তা আমার সঙ্গে শেয়ার করুন, আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করব। আপনাদের কাছ থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করছি। আমি সমস্যার থেকে সম্ভাবনায় বেশি জোর দিয়ে থাকি। সমাজ পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে একসময় সমস্যা আর থাকবে না। কিন্তু সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলে তা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।’ মতবিনিময়কালে জাতীয় দৈনিক যুগান্তর-এর জেলা প্রতিনিধি আহাদ আলী মোল্লা বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীতে কোমর-বাঁধ দেওয়ার কারণে নদী তার ¯্রােত হারিয়ে হারাচ্ছে নব্যতা। বারবার প্রশাসন শুধু কোমর-বাঁধ অপসারণ করে থাকে। কিন্তু প্রয়োজন এ অবৈধ কোমর-বাঁধ দেওয়া নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। মাথাভাঙ্গা নদীর কিছুটা ভিন্ন চিত্র তুলে ধরেন দৈনিক সময়ের সমীকরণ-এর প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর সংস্কার দরকার। নদী ভরাটের মূল কারণ হলো এ শহরের গোটা বর্জ্য মাথাভাঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়ে। যে কারণে এ নদীর পানি দূষিত হয়। এখন এ নদীর পানি দূষণমুক্ত করে কীভাবে পুনঃজীবন দেওয়া যায়, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া এবং শহরের বর্জ্য পরিশোধনের আওতায় আনা প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক-সংকট ও আধুনিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। একজন অভিভাবক হিসেবে আমরা এখন আর কোয়ান্টিটি চাই না, চাই আধুনিক আর মানসম্মত শিক্ষা। প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হলে যা অনেকাংশেই বাস্তবায়িত হবে।’ এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক বলেন, পানিকে পানের উপযোগ্য করে তা নদীতে ফেলাই হলো শিল্পকারখানা স্থাপনের প্রধান শর্ত। পানি ব্যবহারের পর তা পান করা যায়, এমনভাবে শোধন করে তবেই তা নদীতে ফেলতে হয়। এ ক্ষেত্রে চুয়াডাঙ্গার শিল্পকারখানার দিকে নজর দিতে হবে। যেন তারা তাদের বর্জ্য ও পানি শোধন করে নদীতে ফেলতে পারে, সে ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। এ নিয়ে সরকার কাজ করছে। অদূর ভবিষ্যতে তা বাস্তবায়ন হবে।শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্বারোপ করে নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘আমি শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিতে চাই। আপনারা শিক্ষা ব্যবস্থার ভালো-মন্দ তুলে ধরুন। আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করব। কারণ, ভালো শিক্ষা একটি সমাজের বড় চালিকা শক্তি। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হলে স্বাভাবিকভাবেই সমাজ বদলে যাবে।’ খেলাধুলার প্রতি নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘খেলাধুলার প্রতি আমার প্রচুর আগ্রহ রয়েছে। আমি শুনেছি চুয়াডাঙ্গাতে ফুটবলের একটি বড় আসর সম্পন্ন হয়েছে। এমন একটি আয়োজনের চেষ্টা করব আমরাও। কারণ, খেলাধুলা-বিনোদন মানুষকে সব প্রকার খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে।’ চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজিব হাসান কচি তাঁর বক্তব্যে নবাগত জেলা প্রশাসককে সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং জেলার বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সাংবাদিক আজাদ মালিতা, অ্যাড. তছিরুল আলম মালিক ডিউক, আবুল হোসেন, নাসির উদ্দীন, আনোয়ার হোসেন, ফাইজার চৌধুরী, শাহ আলম সনি, বিপুল আশরাফ, ইসলাম রকিব, মানিক আকবর, আরিফুল ইসলাম ডালিম প্রমুখ।