নিউজ ডেস্ক:
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, আগামী ৭ জুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হবে।
বর্তমান সরকারের এটি শেষ বাজেট এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবারের বাজেটের আকার হবে ৪ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থমন্ত্রী গতকাল সোমবার সচিবালয়ে তার কার্যালয়ে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র (ডিসিসিআই) পরিচালনা পর্ষদের সদ্যস্যদের সঙ্গে বৈঠককালে এ কথা জানান।
এ সময় মুহিত বলেন, বাজেটে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পয়ঃনিষ্কাশন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এবং অবকাঠমো খাতকে প্রধান্য দেয়া হবে। বর্তমান সরকার দারিদ্র দূরীকরণে সাফল্য দেখিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন,দেশে বর্তমানে দারিদ্র পীড়িত মানুষের হার প্রায় ২ দশমিক ৪ ভাগ। তবে শতাংশ মানুষ চরম দারিদ্র সীমার মধ্যে রয়েছে বলেও তিনি জানান। বৈঠকে ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান ঢাকা চেম্বারের নেতৃত্ব দেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশে দারিদ্র পীড়িত মানুষের সংখ্যা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণে অধিকতর মনোযোগ দিচ্ছে।
ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রাষ্ট্রয়ত্ত্ব ব্যাংকগুলোর বেশকিছু সমস্যা রয়েছে। তবে এসব ব্যাংক প্রান্তিক জনগণের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করে থাকে।
বাংলাদেশে কর্পোরেট করের হার খুবই বেশি উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন,এটা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি হার বাড়াতে তৈরি পোশাক খাতের অবদান আরোও বেশ কিছু বছর বজায়ে থাকবে এবং বাইরের দেশগুলোতে চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের নতুন বেতন কাঠামো বাস্তবায়নের ফলে দূর্নীতি কমেছে এবং আশা করা যাচ্ছে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে দূর্নীতি উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। তিনি জানান, সঞ্চয়পত্রের সুদের কমানোর বিষয়টি সরকারের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে।
ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান এ সময় বলেন, জ্বালানী ও বিদ্যুৎ খাতের স্বল্পতা, বন্দর ব্যবস্থাপনায় অদক্ষতা, আর্থিক খাতে ঋণ প্রবাহের স্বল্পতা, ব্যবসা পরিচালনায় ব্যয় বৃদ্ধি এবং অবকাঠামো খাতের দূর্বলতা প্রভৃতি বিষয় দেশের বেসরকারি খাতের সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বর্তমান সরকার ঘোষিত ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়া এবং ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে ৩০তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে হলে ৮ থেকে ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির এ হার অর্জন করতে হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্যবসা বান্ধব নীতিমালা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন, অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন, মানবসম্পদের দক্ষতা উন্নয়ন ও গবেষণা এবং নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি জানান।
ডিসিসিআই সভাপতি পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ মডালিটি’র আওতায় উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য “ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাক্চার ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড মনিটরিং অ্যাডভাইজরি অথরিটি (নিদমা) নামে একটি প্লাটফর্ম গঠণের করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।