নিউজ ডেস্ক:
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, ‘বাঙ্গালীর বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় আনতে হবে।’
বুধবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রখ্যাত আইনজীবী ব্যারিস্টার এম. আমীর- উল- ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (বিপিএসসি) সদস্য অধ্যাপক ড. এস.এম. আনোয়ারা বেগম এবং এ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি এ.কে.এম. ফরহাদুল কবির।
ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে নৌপরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের একজন সৈনিক হিসাবে ড. ওয়াজেদ মিয়া নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। শুধু প্রধানমন্ত্রীর স্বামী হিসাবেই নয়, একজন প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী হিসাবে ও একজন ভালো মানুষ হিসাবে তাঁকে স্মরণ করছি।’
তিনি বলেন, তাঁর (ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া) দুই ছেলে-মেয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে মেধা ও যোগ্যতায় কাজ করে চলেছেন।
শাজাহান খান বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ স্বাধীন করেছেন। আর তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাচ্ছেন।’
‘জয়বাংলা’ শ্লোগান দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘জয়বাংলা আওয়ামী লীগের শ্লোগান নয়, এটা মহান মুক্তিযুদ্ধের শ্লোগান। আওয়ামী লীগ এটাকে ধারণ করে। জয়বাংলা শ্লোগানের সাথে বাংলার ৩০লাখ মানুষের রক্ত মিশে আছে।’
চাকরির কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যোগ্যতার ও মেধার ভিত্তিতেই প্রত্যেকটি শর্ত পূরণ করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় নির্বাচনকালীন সরকার রুটিন কাজ করবে এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি বিএনপি নির্বাচনে আসবে। তারা না আসলেও নির্বাচন হবে।’
ব্যারিস্টার এম. আমীর- উল- ইসলাম বলেন, ‘ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া সমাজ সচেতন ও রাজনীতি সচেতন মানুষ ছিলেন। ড. ওয়াজেদ মিয়া ব্যক্তি জীবনে নির্মোহ ছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জামাতা হিসাবে তিনি কোন সুবিধা নেননি।’
বিভিন্ন সংকটকালে ড. ওয়াজেদ মিয়ার ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে আগলে রেখেছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া’
তিনি নির্মিয়মান রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়ার নামে নামকরণের দাবি জানান।