আকন্দবাড়ীয়ায় গৃহবধূর লাশ : আত্মহত্যা নাকি হত্যা!

0
12

নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়ীয়ায় এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। লাশ উদ্ধারের পর এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেই ধন্দে আছে সবাই। তবে গৃহবধূর শ্বশুড় বাড়ীর পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে এটা আত্মহত্যা। মৃত ওই গৃহবধু আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের উত্তরপাড়ার ছালামের ছেলে হাসানের স্ত্রী রুমানা খাতুন রুমা (২০)। গত বুধবার দিনগত রাতে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ওই গৃহবধু আত্মহত্যা করে গৃহবধূর শ্বশুড় বাড়ীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। এদিকে, রুমানা খাতুন রুমাকে হত্যার পর রাতভর আঁড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছেন রুমার বাবা মতিয়ার রহমান। এ ঘটনার পর থেকে রুমার স্বামী হাসান পলাতক রয়েছে।
জানা গেছে, গত ৮ মাস পূর্বে আকন্দবাড়ীয়ার দিনমজুর আব্দুস সালামের ছেলে ভ্যানচালক হাসানের সাথে তিতুদহ ইউনিয়নের খাড়াগোদা গ্রামের মধ্যপাড়ার মতিয়ার রহমানের স্কুলপড়–য়া কন্যা রুমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাকে নানাভাবে শারীরিক নির্যাতন করে আসছিল বলে জানান রুমার পরিবারের লোকজন। এ প্রেক্ষিতে রুমা বুধবার রাতে আত্মহত্যা করে। তবে, বুধবার রাতে রুমাকে হত্যার পর নিজের শোবার ঘরের বাঁশের আঁড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখে বলে অভিযোগ করে রুমার পরিবারের সদস্যরা।
এ বিষয়ে হাসানের পরিবার সদস্যরা বলেন, আমাদের সাথে তার কোন মনোমালিন্য হয়নি। প্রতিদিনের মতো হাসান ও রুমা তাদের শোবার ঘরে ঘুমাতে যায়। রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে আমরা যখন সবাই ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম তখন রুমা তাদের শোবার খাটের ওপরের আঁড়ার সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এই আত্মহত্যা করে। হাসানের মা জানান, আমার স্বামী কেরু এন্ড কোম্পানীর মাঠে দিন মজুরির কাজ করে। বৃহস্পতিবার খুব ভোরে তার কর্মে যাবার জন্য তার শার্ট দিতে বলে। তখন আমি আমার স্বামীর গায়ের শার্ট আনতে হাসানের ঘরে গিয়ে দেখতে পায় ঝুলন্ত অবস্থায় আছে রুমা। তখন চিৎকার দিলে ঘুম ভেঙ্গে উঠে আমার ছেলেও দেখআেকন্দবাড়ীয়ায় গৃহবধূর লাশ : আত্মহত্যা নাকি হত্যা!
ত পায় একই দৃশ্য। পরে সবাই একসাথে চিৎকার শুরু করলে আশেপাশের সবাই ছুটে আসে আমাদের বাড়িতে এবং সবাই মিলে মৃত রুমির লাশ মাটিতে নামায়।
খবর পেয়ে দ্রুত বেগমপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই কিশোর কুমার সেখানে উপস্থিত হন এবং তার মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেন। এলাকাবাসী জানান এর আগেও হাসানের অন্যপক্ষের বউ ছিল। তার ওপর নানাভাবে অত্যাচার করে তাকেও প্রাঁণে মারার হুমকি দেয় সে। পরে সে হাসানের কাছ থেকে ডিভোর্স নিয়ে চলে যায়। গতকাল বিকাল ৫টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে তার ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ তার পরিবারের নিকট তুলে দিলে রাত সাড়ে ১০ টার সময় খাড়াগোদা গ্রাম্য কবরস্থানে রুমার দাফন সম্পন্ন করা হয়। এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।