নিউজ ডেস্ক:
ওড়িশার দানামাঝির ঘটনা দেশবাসীকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অ্যাম্বুলেন্সের অভাবে স্ত্রীর মরদেহ কাঁধে বয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে।
এ ঘটনায় সে সময় নড়েচড়ে বসেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আখেরে লাভ হয়নি। তারপর এমন একাধিক ঘটনার সাক্ষী ভারত। আজও যে সেই ছবিটা পাল্টায়নি, তার আরও একবার প্রমাণ মিলল।
এবার ঘটনাস্থল ঝাড়খণ্ডের গুমলা জেলা। অসুস্থ তিন বছরের শিশুকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তার মা সরিতা ওরাওঁ। হাসপাতালে সব ঠিকই ছিল। চিকিৎসার পর শুক্রবার তাকে ছেড়েও দেয় কর্তৃপক্ষ। তখনই অসুস্থ মেয়েকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাম্বুল্যান্স দিতে অনুরোধ জানান ওই মহিলা। কিন্তু কোনও ইতিবাচক উত্তর মেলেনি। বলে দেওয়া হয়, অসুস্থ রোগীর জন্য অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া সম্ভব নয়।
হাসপাতাল থেকে সরিতার বাড়ির দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার। অ্যাম্বুলেন্স না পেয়ে সন্তানকে কোলে তুলেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন সরিতা। কিন্তু মেয়েকে জীবন্ত অবস্থায় আর বাড়ি ফিরিয়ে আনা হল না। মাঝপথেই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে শিশুটি।
এমন অমানবিক ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে। চিকিৎসার পর শিশুকে ছেড়ে দেওয়া হলে কীভাবে মাঝপথেই মৃত্যু হল তার? কেনই বা অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হল না? সব মিলিয়ে হাসপাতালের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
এদিকে, সন্তান হারিয়ে শোকস্তব্ধ সরিতা। মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচিয়ে রোগীকে নতুন জীবনদান করেন চিকিৎসকরা। যার জন্য আজও প্রভুর আসনে বসানো হয় ডাক্তারদের। কিন্তু এখানে ছবিটা উল্টো। আর কবে সহানুভূতিশীল হয়ে উঠবে হাসপাতালগুলো।