নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে ফসলি জমিতে পুকুর বা দিঘি খনন অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রভাবশালীরা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ উপেক্ষা করে জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে পুকুর খনন অব্যাহত রাখলেও স্থানীয় প্রশাসন রহস্যজনক নীরব ভূমিকা পালন করছে। কৃষি জমির প্রকৃতি পরিবর্তন করে পুকুর বা দীঘি খনন করায় আবাদি জমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে এবং চাষাবাদ হুমকির মুখে পড়ছে বলে এলাকার কৃষকরা দাবি করেছেন। তবে অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দাবি করেছেন। এই সকল পুকুর খননের নামে মোটা অংকের টাকার মাধ্যমে ভাটায় বিক্রয় করা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছে।
এদিকে স্থানীয়ভাবে কৃষি জমিতে পুকুর বা দিঘি খনন করে ভাটায় বিক্রয়ের বন্ধের জন্য এলাকার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জালাল উদ্দিন জানান, অবৈধভাবে পুকুর খনন বন্ধে ব্যবস্থা নিতে রিট অনুসারে প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ ব্যাপারে আদালত এসব অবৈধ পুকুর বন্ধে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এতেও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও রায় উপেক্ষা করে অব্যাহত অবৈধ পুকুর খনন চলছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় একটি প্রভাবশালী মহল খাল, বিলে ও ফসলের জমিতে ফ্রি স্টাইলে যত্রতত্র পুকুর খনন করে মাছ চাষের নামে জমির প্রকৃতি পরিবর্তন অব্যাহত রেখেছেন। এতে বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে পড়ছে। পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এলাকার শত শত বিঘা ফসলি জমি পড়ে থাকছে, অপরদিকে ফসলি জমি কমছে।
গতকাল সোমবার দেখা গেছে আলমডাঙ্গা পৌরসভার ফকোট-বন্ডবিলের নিকট চাষের জমি থেকে অবৈধভাবে এমএসবি ভাটায় ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাচ্ছে। এরই কারণে যেমন নষ্ট হচ্ছে সমতল ভূমি, তেমনি চলতি রাস্তায় তৈরি হচ্ছে ধুলোর রাজধানী। রাস্তায় চলাচল স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়তে হচ্ছে জীবন ঝুকিতে।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মাটি খননের ব্যাপারে আমার কাছে অনেক অভিযোগ এসেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।