নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ও গড়াইটুপির চিত্রা নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করা বাজেয়াপ্ত ৬টি বালুর ঢিবি নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করেছে চুৃয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন। গতকাল বুধবার বেলা ১১টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমানের উপস্থিতিতে এ নিলাম পরিচালনা করা হয়।
জানা গছে, ১৭ জানুয়ারি তিতুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর আলীর তিনটি বালুর ঢিবি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গতকাল বাজেয়াপ্তকৃত এ তিনটি বালুর ঢিবির ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৯৮ দশমিক ৯৮ ঘনফুট বালু উন্মুক্ত নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়। নিলামে সর্বোচ্চ দাম ৪ লক্ষ ৮২ হাজার ৪ শ টাকা জমা দিয়ে বালুর মালিক হিসেবে নির্বাচিত হন কালুপোল গ্রামের আওয়ামী লীগের নেতা আবু সাঈদ খোকন। এ ছাড়া গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশের পরিচালনায় অবৈধভাবে চিত্রা নদী থেকে তোলা ১ লক্ষ ৬১ হাজার ৭৪০ দশমিক ৩৯ ঘনফুট তিনটি বালুর বাজেয়াপ্তকৃত ঢিবির নিলাম কার্যক্রমে ২ লক্ষ ১১ হাজার ২ শ টাকা জমা দিয়ে বালুর মালিক হিসেবে নির্বাচিত হন গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন চান মিয়া। এ উন্মুক্ত নিলাম পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পেশকার সোবহান উদ্দীন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা আইনাল হক, তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আকতার হোসেন, সচিব জিয়াউর রহমান, তাজুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ মানিক, চুয়াডাঙ্গা সদর থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিপু, তিতুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শুকুর আলী, আওয়ামী লীগের নেতা নিলুয়ার হোসেন, গড়াইটুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশ, তিতুদহ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই আমিরুল ইসলাম ও এএসআই ফারুক হোসেনসহ পুলিশ সদস্যরা।