সরকারের ওপর আস্থা রেখে জনগণকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘হয়তো আমরা এখনই তাদের সব দাবি পূরণ করতে পারছি না, তবে আমরা প্রতিটি যৌক্তিক দাবি বিবেচনা করছি।’
সরকারের ১০০ দিন পূর্তি উপলক্ষে বাসসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘যেহেতু দেশে ১৬ বছর স্বৈরাচারী অবস্থা ছিল, সেই সময়ে দেশবাসীর কাছে অনেক কথা ও দাবি জমা ছিল। এখন তারা সেগুলো প্রকাশ করছে। আমরা তাদের জন্য সেই পথ তৈরি করার চেষ্টা করেছি যাতে করে তারা যা বলতে চায় তা বলতে পারে।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার মত প্রকাশ ও সমাবেশ করার স্বাধীনতার পাশাপাশি সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছে। গণমাধ্যমের হস্তক্ষেপ না করাকে তিনি তার সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখছেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘তার মন্ত্রণালয় বা সরকারের ১০০ দিনে গণমাধ্যমের কার্যক্রমে কখনোই হস্তক্ষেপ করেনি। মিডিয়া এখন তার পেশাগত কার্যক্রম পরিচালনায় সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’
নাহিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছরের ইতিহাসে দেশের জনগণ ও গণমাধ্যম কখনো এমন স্বাধীনতা ভোগ করেছে কি না তা আমাদের জানা নেই।’
সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে তথ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরে এর আগে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা খর্ব করা ও রাজনৈতিক মতবিরোধ দমন করা হতো উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, ‘সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন নীতিমালা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।’
জুলাই বিপ্লবের দিকে ফিরে তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রকাশনা ও তথ্যচিত্র তৈরির লক্ষ্যে ইতোমধ্যে জুলাই বিদ্রোহের বিশাল প্রমাণ সংগ্রহ করেছে।’
নাহিদ বলেন, ‘শহীদ ও আহত সাংবাদিকদের জন্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংগঠন সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আর্থিক সহায়তা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে ‘ সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার মান উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিডিয়া সংস্কার কমিশন একটি রোডম্যাপ উপস্থাপন করবে এবং আমরা সে অনুযায়ী কাজ করব।’
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, যাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়। আমরা আশা করছি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে দেশের জনগণ বিচারের প্রমাণ পাবে।’