নিউজ ডেস্ক:আলমডাঙ্গার কেদারনগর-পুটিমারী কাঁচা রাস্তা পাঁকাকরণের কাজে নি¤œমানের ইট ব্যবহারে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাস্তার কাজে নি¤œমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল রবিবার বিকাল ৫টায় আলমডাঙ্গা নির্বাহী অফিসার রাহাত মান্নান সরেজমিন পরিদর্শন করেছে।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার উপজেলার বেলগাছী ইউনিয়নের কেদারনগর-পুটিমারী গ্রামে প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার কাজে শুরু থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলে এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, বেলগাছী ইউনিয়নের কেদারনগর গ্রামটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। এই গ্রামে দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার কোন উন্নয়ন না হওয়ায় বর্ষার মৌসুমে এই এলাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আলমডাঙ্গা শহর থেকে মাত্র ৫ কি.মি. দুরত্ব হলেও উন্নয়নের কোন ছোয়া লাগেনি। গত কয়েক বছর পূর্বে কেদারনগর গ্রামে প্রায় ৩ কি.মি. রাস্তা নির্মাণ করা হলেও প্রবেশ মুখ ভয়ানকভাবে নষ্ট হয়ে যাওয়ায়, যাতায়াতের জন্য গ্রামের সাধারন জনগণের কাছে বিশ ফোঁড়া হয়ে ওঠে। এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে পাঁকাকরণের দাবি থাকলে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের প্রচেষ্টায় গত এক মাস আগে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু হয়। কাজের শুরুতেই রাস্তার পাশে নি¤œমানের ইটের খোয়া ফেলতে দেখে এলাকাবাসী। তাৎক্ষণিকভাবে জোরালো প্রতিবাদ করে। পরবর্তীতে ঠিকাদার আবারও নি¤œ মানের জিনিষ দিয়ে কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী মৌখিক অভিযোগ করে আলমডাঙ্গা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহাত মান্নানের কাছে। এমন অভিযোগ পেয়ে গতকাল রবিবার বিকাল ৫টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরেজমিনে পরিদর্শনে যান। অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তিনি রাস্তার কাজ পরির্দশন করেন। নির্মাণাধীন রাস্তার ইট খোয়া ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনের সময় তিনি বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে এসে তদন্ত করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।