ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনকালে সিভিল সার্জন খাইরুল আলম
নিউজ ডেস্ক:জীবননগর শহরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম। গতকাল বুধবার দুপুরে জীবননগর পৌর শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক তিনি সেন্টার পরিদর্শন করেন।জীবননগর শহরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছেন সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম। গতকাল বুধবার দুপুরে জীবননগর পৌর শহরের বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক তিনি সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে সিভিল সার্জন ডা. খাইরুল আলম বলেন, জীবননগর শহরে যে সমস্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক আছে তার মধ্যে বেশির ভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অপরিস্কার, অপরিছন্ন এবং সরকারি নিয়মনুযায়ী ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যে, ডাক্তার এবং নার্স থাকার কথা তার কোনটাই নেই বললেই চলে। তবে সকলকে সতর্ক করে একটি সময় বেধে দেওয়া হয়েছে, ওই সময়ের মধ্যে যদি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকরা সরকারি নিয়মনুযায়ী ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনা না করে তা হলে, এরপর আর কারও ছাড় দেওয়া হবে না। ওই সমস্ত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, জীবননগর শহরে ১৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ৮টি ক্লিনিক আছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোন লাইসেন্স নেই। বেশির ভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নামে মাত্র ডিপ্লোমাধারী টেকনেশিয়ান আছে কিন্তু কাজে কোন কিছুই নেই। তা ছাড়া সরকারি নিয়মনুযায়ী প্রতিটি ক্লিনিকে ৩ জন এমবিবিএস ডাক্তার ও ৬ জন ডিপ্লোমাধারী নার্স থাকার কথা থাকলেও ক্লিনিকগুলোতে তার কোনটাই নেই। নামে মাত্র খন্ডকালীন একটি ডাক্তারের সাইন বোর্ড ব্যবহার করে ক্লিনিক পরিচালনা করে আসছে এবং ক্লিনিকগুলোতে নার্সের পরিবর্তে ক্লিনিকের আয়ারায় নার্স হিসেবে বেশির ভাগ সময় ক্লিনিকে নার্সের পরিচয় দিয়ে কাজ করে থাকে। এগুলো যেন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের মনগড়া নিয়মে পরিণত হয়েছে। সরকারি নিয়ম কানুন বাদ দিয়ে নিজেদের মন মতো ক্লিনিক পরিচালনা করায় প্রতিনিয়িত জীবননগর শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠছে। এদিকে সচেতন মহলের দাবি, যে সমস্ত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আদৌও লাইসেন্স নেই, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করে এবং অপরিস্কারও অপরিছন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো অচিরেয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।