অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়ালেন তিতুদহের আহসান হাবিব

0
11

পূর্বাশা পরিবহনে নিরাপদ ভ্রমণে যাত্রীদের শঙ্কা!
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকা রুটে চলাচলকারি পূর্বাশা পরিবহনে অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারি সদস্যদের আনাগোনা বেড়েছে। প্রায়ই যাত্রীরা অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব খোয়াচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরমধ্যে আবারও সরোজগঞ্জ বাজারে পূর্বাশা পরিবহনযোগে ঢাকা যাওয়ার পথিমধ্যে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে সর্বস্ব হারিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়নের হুলিয়ামারী গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার খলিলুর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব পিন্টু। গতপরশু সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞান অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
জানা যায়, গতপরশু সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ বাজার থেকে স্ত্রীর ছোটভাই (শালা) জিয়ার অপারেশনের টাকা নিয়ে ঢাকা পিজি হাসপাতালে উদ্দেশ্যে পূর্বাশা পরিবহনযোগে রওনা হয় আহসান হাবিব পিন্টু। রাত ৯টার সময় মোবাইলফোনে পরিবারের সাথে যোগাযোগ হয় বলে জানায় আহসান হাবিরের স্ত্রী। পরে আর কোন যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এদিকে পুর্বাশা পরিবহনটি ঢাকা পৌছানোর পর বাসের সব যাত্রী নেমে গেলেও আহসান হাবিবকে বাসের ভিতর ঘুমন্ত অবস্থায় দেখে বাসের হেলপার। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় তার ঘুম ভাঙ্গানোর চেষ্টায় ব্যার্থ হলে হেলপার বুঝতে পারে সে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছে। এ সময় ওই বাসের হেলপার আহসান হাবিবের পরিবারের সদস্যদেরকে মোবাইলফোনে ঘটনাটি জানালে পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা পর্যন্ত পৌছে দিতে বলে। গতকাল দুপুরে ওই একই বাসে অজ্ঞান অবস্থায় আহসান হাবিব চুয়াডাঙ্গা বড় বাজারে পৌছালে আহসান হাবিবের পরিবারের সদস্যরা তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মোটা অংকের টাকা ও একটি মোবাইল ফোন খোয়া গিয়েছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
অপরদিকে, সচেতন ও নিয়মিত অনেক যাত্রীই পূর্বাশা পরিবহনের কোচে ভ্রমণ করতে নিরাপদ মনে করছেন না বলে এই প্রতিবেদককে জানান। তারা অভিযোগ করে বলেন, “দুরপাল্লার এ সকল বাস/কোচে সাধারণত নির্দিষ্ট কাউন্টার ছাড়া যাত্রী ওঠানো-নামানোর নিয়ম নেই। কিন্তু সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি যেখানে সেখানে পূর্বাশা বাসের গতি কমে যায়, এরপর সেখান থেকে যাত্রী তুলে খালি সিটে বসানো হয়। কাউন্টার ও টিকিট ছাড়া এসব যাত্রীরা বাসে উঠে অস্বাভাবিক আচরণ করে এবং সুযোগ বুঝে যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা-পয়সা, ব্যাগ, মোবাইল ফোন ও দামী জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। বাসে থাকা সুপারভাইজার, হেলপার ও ড্রাইভারকে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানালে তারা পাল্টা জবাবে বলে, ‘আপনাদের জিনিসপত্র আপনারা সাবধানে রাখতে পারেন না? বাসে উঠে সতর্ক থাকবেন” এ বিষয়ে পূর্বাশা পরিবহন কর্তৃপক্ষকে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যাত্রী সাধারণ।

সমীকরণ প্রতিবেদন: