চুয়াডাঙ্গা ডিবি অফিস থেকে অস্ত্রসহ আটককৃত ডাকাত সদস্য পালিয়েছে
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:: চুয়াডাঙ্গা ডিবি কার্যালয় থেকে দেশীয় তৈরি পাইপগানসহ আটককৃত ডাকাত সদস্য জীবননগর কর্চাডাঙ্গা গ্রামের জাহিদ ভোররাতে পালিয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে ৩ পুলিশ কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্তসহ গঠন করা হয়েছে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি। পলাতক আসামীকে ধরতে পুলিশ জেলাজুড়ে চিরুনি অভিযান শুরু করেছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পলাতক ডাকাত সদস্যকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। শহরের সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে এ ঘটনাটি।
জানা যায়, অস্ত্রসহ আটককৃত ডাকাত সদস্য জাহিদ চুয়াডাঙ্গা ডিবি কার্যালয় থেকে গতকাল ভোরে সুযোগ বুঝে কৌশলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম নিয়মিত অভিযান পরিচালনার সময় গত শনিবার রাতে জীবননগর উপজেলার কর্চাডাঙ্গা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেনকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী পাইপগান উদ্ধার করে পলিশ। আন্দুলবাড়ীয়া থেকে শাহাপুর এলাকার মধ্যবর্তী লতিফ ইটভাটার কাছ থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ডিবি কার্যালয় রাখা হয়। গতকাল রবিবার ভোরে সুযোগ বুঝে আটককৃত আসামী জাহিদ পাহারারত পুলিশ সদস্যদের বোকা বানিয়ে ডিবি কার্যালয় থেকে কৌশলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
এদিকে, অস্ত্রসহ আটককৃত আসামী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম জানান, গতকাল শনিবার রাতে অস্ত্রসহ আটককৃত জাহিদুল কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের জানায় সে বাথরুমে যাবে। এসময় এক পুলিশ সদস্য তার হ্যান্ডক্যাপ খুলে বাথরুমে নিয়ে যায়। পরে হ্যান্ডক্যাপ লাগিয়ে যথাস্থানে রাখে। পাহারারত ওই পুলিশ সদস্যরা বাথরুমে গেলে এবং অপর সদস্যরা অবচেতন থাকলে সবার অগোচরে সুযোগ বুঝে হ্যান্ডক্যাপ খুলে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় ডাকাত সদস্য জাহিদ। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারনে ৩ পুলিশ কসস্টেবল মাসুদ, মহিদুল ও মাহমুদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবারের মধ্যে কমিটিকে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার জন্য বলা হয়েছে। পলাতক আসামীকে ধরতে পুলিশ চিরুনী অভিযান শুরু করেছে।