জীবননগরের আরিফুলের লাশ মিললো বুড়িগঙ্গায়
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: নিখোঁজের ৩০ ঘন্টা পর বুড়িগঙ্গায় নদী থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মেধাধী শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের (২২) ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সদরঘাট টার্মিনাল বরাবর বুড়িগঙ্গার মাঝ নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। আরিফুল চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার রায়পুর ইউনিয়নের মারুফদহ গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মাইনুদ্দিনের ছেলে। গতরাতেই ময়নাতদন্ত শেষে অ্যাম্বুলেন্সযোগে আরিফুলের লাশ জীবননগরের মারুফদহের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। আজ দাফনকার্য সম্পন্ন করা হবে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তম ব্যাচের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থবর্ষের ফাস্ট বয় আরিফ প্রতিদিন কেরানীগঞ্জ থেকে নদী পার হয়ে জবিতে ক্লাস করতে যেতেন। গত সোমবার (৩০ জুলাই) তিনি বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। গত সোমবার সকালে কেরানীগঞ্জের আগানগর ইস্পাহানীর ঘাট থেকে খেয়া নৌকায় বুড়িগঙ্গা পাড়ি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন আরিফুল। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদীতে এক যুবকের মরদেহ ভেসে উঠলে আরিফের বড় ভাই মো. রাশেদ ঘটনাস্থলে এসে নিহতের মরদেহ শনাক্ত করেন। ।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) কামাল হোসেন বলেন, মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কামাল হোসেন আরো জানান, ওই ছাত্রের বাবার নাম মো: মাইনুদ্দিন। গ্রামের বাড়ি চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর এলাকায়। আরিফুল কেরানীগঞ্জের ইস্পাহানী আবাসিক এলাকার একটি মেসে থেকে পড়াশুনা করতেন। সোমবার খেয়া নৌকায় বুড়িগঙ্গা পাড়ি দিতে গিয়ে পানিতে ডুবে তিনি নিখোঁজ হন। তবে প্রথমে কেউ জানতে পারেনি নিখোঁজ যুবকের নাম পরিচয়। পরে একটি বইপত্র রাখার ব্যাগ পানিতে ভেসে উঠায় সেখান থেকে আরিফুলের পরিচয়পত্র পাওয়া যায়।