মু.ওয়াছীঊদ্দিন,লক্ষ্মীপুর: ২৪ বছর পর ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। প্রায় ৫০ হাজার নেতাকর্মীর সমাগম ও জেলা-উপজেলার ২২১ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাকরছেন সংগঠনটির স্থানীয় নেতারা। এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে জেলাজুড়ে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা যাচ্ছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। সম্মেলনকে জাঁকজমক, উৎসবমুখর ও আনন্দঘন করতে জেলাজুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে কয়েকশ’ তোরণ। এছাড়া স্লোগানে স্লোগানে প্রতিদিন মুখর রাখা হচ্ছে জেলা শহর। তাছাড়া নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন আর বিলবোর্ড দিয়ে শহরের অলি-গলি ও রাস্তাঘাট সাজিয়ে রেখেছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা। এছাড়াও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে রাখা হয়েছে হাট-বাজারসহ জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
সম্মেলন সফল করতে জেলা সদর, রায়পুর, রামগঞ্জ, রামগতি ও কমলনগর উপজেলায় থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডভিত্তিক চলছে প্রচার-প্রচারণা এবং সভা-সমাবেশ। এরই মধ্যে সম্মেলনের জন্য শহরের আদর্শ সামাদ উচ্চবিদ্যালয় মাঠ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শেষ হয়েছে মঞ্চের কাজও। আগামীদিনে কে হচ্ছেন যুবলীগের কাণ্ডারি? এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক ব্যক্তির নাম শোনা গেলেও সভাপতি পদে একমাত্র জেলা যুবলীগের বর্তমান আহ্বায়ক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুর নামই শোনা যাচ্ছে।
সদর পশ্চিম যুবলীগ আহ্বায়ক তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী টিটু ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল হক মাহবুব জানান, বিগত সময়ে যুবলীগকে সুসংগঠিত করতে ও দলের সব আন্দোলন-সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু। আগামী দিনেও তার বিকল্প নেই। কমলনগর যুবলীগের আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী জানান, সালাহ উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে সংগঠন বর্তমানে সুসংগঠিত রয়েছে। তারা এমন নেতার নেতৃত্বে থাকতে চান। রামগতির যুবলীগ আহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন হেলাল বলেন, সালাহ উদ্দিন টিপু একজন সময়োপযোগী নেতা। সংগঠনকে গতিশীল আর শক্তিশালী করতে তার বিকল্প কেউ নেই। একেএম সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে সভাপতি পদে আমাকে দায়িত্ব দেয়া হলে আরো সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পুরো জেলাকে ঢেলে সাজাব। জননেত্রীকে আগামী নির্বচানে ৪টি আসন উপহার দিতে যুবলীগের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে কাজ করব।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ১৯৯৩ সালে। এর পর দীর্ঘ দুই যুগ কেটে গেলেও লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের কোন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৯৩ সালের সম্মেলনে যুবলীগ সভাপতি নির্বাচিত হন, এ্যাডভোকেট নুরুল হুদা পাটোয়ারী এবং সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন চৌধুরী।
২০১৫ সালে একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুকে আহবায়ক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট্য লক্ষ্মীপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। তাঁর নেতৃত্বে যুবলীগ আগের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশী শক্তিশালী হয়। সম্মেলনকে ঘিরে পূরো জেলা শহরকে নতুন সাজে সাজে সাজানো হয়েছে। এ নিয়ে যুবলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এতে সভাপতি পদে বর্তমান আহবায়ক একেএম সালাউদ্দিন টিপু ব্যতীত কারো নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছেনা। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে চারজন পদ প্রার্থী রয়েছেন, এদের মধ্যে রয়েছেন, মেজবাহ উদ্দিন হেলাল, শেখ জামাল রিপন, বায়েজিদ ভূঁইয়া এবং নোমান। এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ সদস্য ভোটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন।