নিউজ ডেস্ক:
পৃথিবীর জলবায়ুসহ বিভিন্ন তথ্য পর্যালোচনা করে গবেষকরা অনুমান করেছেন, ২১০০ সালেই পৃথিবীর অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ হবে। আর সে সময়টিকেই পৃথিবীর মহাপ্রলয়ে শুরু হিসেবে বলা যায়।
বিশ্বের উষ্ণতা বাড়ানোর জন্য দায়ী গ্যাসগুলোর পরিমাণ বায়ুমণ্ডলে দিন দিন বাড়ছে। যে হারে দূষণ এবং গড় তাপমাত্রা বাড়ছে, তাতে পরবর্তী প্রজন্মের চোখের সামনেই ধ্বংস হবে পৃথিবী। এই শতাব্দীর শেষেই সেই দিন ঘনিয়ে আসছে। এমন ভয়ানক তথ্যই জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা মনে করছেন, পৃথিবী আর মানুষের বাসযোগ্য থাকবে না। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা দিন দিন অতিরিক্ত হারে বাড়ার জন্যই এমনটি ধারনা গবেষকদলের। প্রায় পাঁচ বছর আগেই এ বিষয়ে সতর্ক করে অস্ট্রেলিয়ার ভূ-বিজ্ঞানী ড. ফেনার বলেছিলেন, আর এক শতকের মধ্যেই পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হবে মানুষ। ’ তিনি মারা গেছেন বেশ কিছুদিন আগে। তবে তার ভবিষ্যদ্বাণীই যে সত্যি হতে চলেছে, তেমন আশঙ্কাই করছেন এখনকার বিজ্ঞানীরা।
গবেষকরা বলছেন, ২০৩০ সালে যে পরিমাণ গ্রিনহাউস গ্যাস বায়ুমণ্ডলে মিশবে, শুধুমাত্র তাতেই চলতি শতকের শেষে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়িয়ে দেবে। এটা ধ্বংসের কারণ হিসাবে যথেষ্ট। বৈজ্ঞানিকরা মনে করছেন ২১০০ সালে বিশ্বের গড় তাপমাত্রা ৫ জিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়বে। আর তখনই শুরু হবে মহাপ্রলয়।