নিউজ ডেস্ক:
এখন থেকে একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সব অপারেটর মিলিয়ে সর্বোচ্চ ২০টি সিম তোলা যাবে।
২০টির বেশি সিম কারো কাছে থাকলে যে কয়টি সিম বেশি থাকবে সেগুলো বাতিল করা হবে।
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ‘কন্ট্রোল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্ম’ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
তিনি জানান, কন্ট্রোল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্মের কার্যক্রম শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে। এটি কার্যকর হতে ১৮ ঘণ্টা সময় লাগবে। এই ১৮ ঘণ্টায় নতুন সিম বিক্রির ক্ষেত্রে সমস্যা থাকবে। তবে মোবাইলের নেটওয়ার্কে কোনো সমস্যা দেখা দেবে না।’
২০১৫ নভেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু হওয়ার পর অপারেটররা গ্রাহকের এনআইডি যাচাই করে সিম নিবন্ধন করে আসছিল। শুক্রবার থেকে এ প্লাটফর্ম চালু হলে নতুন সিম নিবন্ধনের বিষয়টি বিটিআরসির সম্মতির ওপর নির্ভর করবে।
তারানা হালিম জানান, গত ৩০মে পর্যন্ত বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধিত সিমের ডাটাবেজ আপডেট করা হয়েছে। আর নতুন প্লাটফর্ম চালুর জন্য বৃহস্পতিবার থেকে চূড়ান্ত আপডেট করার সময় সিম বিক্রির ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে আপডেট হয়ে গেলে শুক্রবার বিকাল থেকে সিম বিক্রিতে আর কোনো সমস্যা থাকবে না- এমনটাই প্রত্যাশা প্রতিমন্ত্রীর।
তিনি বলেন, ‘সিম ভেরিফিকেশনের কাজ সব অপারেটরকে নিয়ে সমন্বিতভাবে শুরু হচ্ছে। এই মনিটরিং প্লাটফর্ম একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সব অপারেটর মিলিয়ে ২০টির অধিক সিম চিহ্নিত করবে। যদি কারো পরিচয়পত্রের বিপরীতে ২০টির অধিক সিম পাওয়া যায় তবে ২০টি সিম রেখে বাকিগুলো বাতিল করা হবে।’
তারানা হালিম বলেন, ‘বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন সফলভাবে পাঁচ মাসে সম্পন্ন হয়েছে। বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের এই ধারাবাহিকতায় আজ থেকে কন্ট্রোল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্ম নামে আরো একটি নতুন ধাপ যুক্ত হলো।’
ইতিমধ্যে কন্ট্রোল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্মের সঙ্গে সব মোবাইল অপারেটর যুক্ত হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
মনিটরিং প্লাটফর্ম কিভাবে কাজ করবে তা জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে যে কোনো অপারেটরের সিম কিনতে চাইলে অপারেটরদের সেই তথ্য যাবে বিটিআরসির সেন্ট্রাল মনিটরিং সিস্টেমে। সেই মনিটরিং সিস্টেম গ্রাহকের এনআইডির সঙ্গে যাচাই করে দেখবে তার এনআইডির বিপরীতে কয়টি সিম রয়েছে। সব তথ্য ঠিক থাকলে বিটিআরসি জানিয়ে দেবে, সিম নিবন্ধন করা যাবে কি না। নিয়ম অনুযায়ী সব অপারেটর মিলিয়ে গ্রাহকের ২০টির বেশি সিম থাকার নিয়ম নেই।
তিনি বলেন, কন্ট্রোল বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন মনিটরিং প্লাটফর্ম অপারেটরের তথ্য প্রাপ্তি সাপেক্ষে সিম ভেরিফাই ও নিবন্ধন করবে। তা ছাড়া এ প্রক্রিয়ায় মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা নিয়ে পরিসংখ্যান দেওয়া সহজ হবে। কোনো ডেটা নিয়ে সন্দেহ হলে বিটিআরসি তা যাচাই করে নিতে পারবে।’ গ্রাহকদের কোনো ধরনের হয়রানিতে না ফেলেই এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর সিকদার, বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারীসহ বিটিআরসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বিটিআরসির সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী জানান, গত ৩০ মে পর্যন্ত সব অপারেটর মিলিয়ে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবিন্ধন সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ৩১ লাখ ছাড়িয়েছে।