নিউজ ডেস্ক:১৮ বছরের ইমতিয়াজ হোসেন রাজু এখনো শিশু। যে বয়সে তাঁর কলেজে পড়ার কথা, খেলবে বন্ধুদের সঙ্গে। অথচ সেই বয়সে এখনো মায়ের আঁচলে মুখ লুকায় রাজু। হরমোনজনিত কারণে রাজুর শারীরির বৃদ্ধি ঘটেনি। রাজু ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উত্তরনারায়ণপুর গ্রামের মনিরুজ্জামান মিঠুর ছেলে। তাঁর শরীরের উচ্চতা চার ফুট। চলাফেরা-কথাবার্তা একেবারেই শিশুর মতো।
এদিকে, পেশায় দর্জি মনিরুজ্জামান মিঠু ছেলের চিকিৎসার জন্য সাধ্যমতো অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু কোনো সাফল্য পাননি। আর এ চিকিৎসা করাতে গিয়ে দার্জি পিতার সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। এখন তাঁর বসতবাড়ির ভিটে ছাড়া কোনো জায়গা-জমি নেই। রাজুর মা জানান, ছোট অবস্থায় রাজু খুব কান্নাকাটি করতেন। হাঁটা শিখছে, এমন অবস্থায় তাঁর শরীরের মাংসপেশি শক্ত হতে থাকে। এরপর তাঁকে ডাক্তারের কাছে নেওয়া হয়, কিছু দিন চিকিৎসা করানো পর অর্থের অভাবে থেমে যায় চিকিৎসা। গত বছর ভারতের চিকিৎসক শুভদ্বীপ প্রামাণিকের কাছে চিকিৎসা করানো হয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছেন, হরমোনজনিত কারণে তাঁর শরীরের এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। আরও আগ থেকে চিকিৎসা করাতে পারলে ভালো হতো।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. অলোক কুমার সাহা জানান, সাধারণত জন্মের ১৫ দিন পর থেকে এসব রোগীর চিকিৎসা শুরু করাতে পারলে ভালো হয়। এখন তাঁর বয়স ১৮ বছর। এ অবস্থায় তাঁর শারীরিক বৃদ্ধি ঘটানো প্রায় অসম্ভব। স্থানীয় সাগান্না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আল মামুন জানান, ‘আমি ছেলেটির সম্পর্কে শুনেছি। কাগজপত্র দিলে আমি তাঁকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেব।’